বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাত ১২টা থেকে পারাপার হতে বাড়তি টোল দিতে হচ্ছে চালকদের।
পরিবহনের প্রকারভেদে বাড়তি টোল আদায় শুরু করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এরআগে সোমবার ১৫ নভেম্বর রাত ১২ টার পর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বাড়তি টোল আদায় না করতে নির্দেশনা দিয়েছিল।
এদিকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কমিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএস) সফটওয়ারে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় শুরু করবে। ফলে পূর্বের সিএনএসের সফটওয়ার নতুন করে আপগ্রেড করা হয়েছে।
এতে পূর্বের ভাড়ার পরিবর্তন করে নতুন ভাড়া সংযুক্ত করে বাড়তি টোল আদায় শুরু করা হবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে পরিবহন থেকে সরকার ঘোষিত বাড়তি টোল আদায় শুরু।
এরআগে গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বৃদ্ধি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের এর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সেতু বিভাগের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণীবিন্যাস এবং টোল হার ধরা হয়েছে, মোটরসাইকেল ৫০টাকা, হাল্কা যানবাহনের মধ্যে কার/জীপ ৫৫০, মাইক্রো, পিকআপ ৬০০, ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) ৭৫০, বড় বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) ১০০০, ছোট ট্রাক (৫ টন) ১০০০, মাঝারি ট্রাক (৫ টন থেকে ৮ টন) ১২৫০, মাঝারি ট্রাক (৮ টন থেকে ১১ টন) ১৬০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল) ২০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ৩০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) ৪০০০ টাকা এবং সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রতিবছর ১ কোটি টাকা টোল আদায় করা হবে।
এরআগে গত ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। টোল বেড়ে, মোটরসাইকেলে ৪০ টাকা, হালকা যানবাহন (কার, জীপ) ৫০০ টাকা, ছোট বাস ৬৫০ টাকা, বড় বাস ৯০০ টাকা, ছোট ট্রাক ৮৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ১১০০ টাকা, বড় ট্রাক ১২৫০ থেকে ১৪০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছিল।