চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৩টা ৪০মিনিটে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় কেবিনে।
কারাবরণের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনা হলো।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেবেন অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল (মেডিসিন), অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক (নিউমটোলিজ), অধ্যাপক সজল ব্যানার্জি (কার্ডিয়লজি), ডা. নকল দত্ত (অর্থোপেডিক্স), সহকারী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. এম জলিল বলেন: এর আগে আমি তাকে দেখেছি, এবারও দেখছি। দেখি কি অবস্থা। তার তো কিছু সমস্যা রয়েছে।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার সময় পুরনো কারাগার থেকে শুরু করে বকশিবাজার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শাহবাগ এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কৃষ্ণপদ রায় বলেন: ‘খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। তারা আমাদের যেভাবে বলেছেন, আমরা সেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিএসএমএমইউতে ভর্তি করে চিকিৎসার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেদিন রাতেই এ সংক্রান্ত আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হয়।
আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, খালেদার চিকিৎসায় গত সেপ্টেম্বরে সরকার যে মেডিকেল গঠন করে দিয়েছিল, তার তিন সদস্যকে বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে সেখানে যুক্ত করতে হবে। এবং তাদের কেউই কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের স্বাচিপ ও ড্যাবের বর্তমান বা অতীত সদস্য সমর্থক হতে পারবেন না।
ওই তিনজন ছাড়া অন্য দুই জনের নামও উল্লেখ করে দেন আদালত। তারা হচ্ছেন, বিএসএমএমইউ-এর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী এবং ফিজিকাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ।
খালেদা জিয়া তার পছন্দমতো ফিজিওথেরাপিস্ট, গাইনোকলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান নিতে পারবেন বলেও জানান আদালত। আর পাঁচ সদস্যের গঠিত বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বাইরে থেকে পছন্দমত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনতে পারবেন।
খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।