চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘বঙ্গবন্ধু নথি পড়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতেন না’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নথি পড়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। তিনি পুরো বাংলাদেশকে জানতেন। সব বিষয়ে অবগত ছিলেন। তিনি দর্শনার্থীদের সঙ্গে সহজ ও সরল ব্যবহার করতেন এবং তাদের বাড়ির পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন। সকল ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের রাজনীতিবিদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন।

শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন আলোর পথের রাজনীতি জনমানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। তিনি মওলানা ভাসানীকে অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন। তিনি মানুষের চরিত্র সহজেই বুঝতে পারতেন এবং সেই অনুযায়ী চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতেন। কারাভোগরত সবুর খানের কামরায় ফ্যানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভিন্ন মতের ব্যক্তিদের প্রতিও বঙ্গবন্ধু দয়ালু ছিলেন। কারাভোগরত রাজিয়া ফয়েজকে বঙ্গবন্ধু মুক্তি দিয়েছিলেন। এদেশের গণমানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, জ্ঞান উন্নয়নের চালিকা শক্তি। জ্ঞানের সম্প্রসারণে উন্নয়নের বিকাশ ঘটে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে, তাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু যাদেরকে পদোন্নতি দিয়েছিলেন, তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা নিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, মন হত্যাও অপরাধের মধ্যে পড়ে। যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তার কোনো সত্যতা নেই। এমন ঘটনা ঘটেনি। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হয়নি। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম আঘাত করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাথেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার প্রমুখ।