শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তি ও অধিকার নিয়ে যে চিন্তাভাবনা করতেন, তা তিনি জনসাধারণকে বোঝাতে পেরেছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু রাজনীতির নীতি নির্ধারণ করতেন বলে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।’
বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে গিয়ে সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নয়, খুনীরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সেই পরাজিত শক্তি এখনও তৎপর রয়েছে। সেই পরাজিত শক্তিকে আমাদেরই রুখতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় বাংলাদেশের সঙ্কট উত্তরণের ভাবনা গুরুত্ব পেতো। তাই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্বের গুণে সময়কে অতিক্রম করেতে পেরেছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, অফিসার সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্জল প্রমুখ।