স্বধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে দেশের শিক্ষার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং সবার জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ডক্টর কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন যা কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন নামে পরিচিত।
১৯৭৪ সালের মে মাসে কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩৬ অধ্যায়ে ৪৩০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে সকল স্তরে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা চালু, ভবিষ্যত কর্ম সংশ্লিষ্ট কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। কমিশনের রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত, মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৪ বছর এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৪ বছরের অনার্স ও ১ বছরের মাস্টার্স কোর্স চালুর সুপারিশ করা হয়েছিলো। ফল মূল্যায়নে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর সুপারিশও করেছিলো ওই কমিশন।
কালাকানুন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্বশাসন প্রদান করেন। ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় ৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
৭৪ সালের ১২ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সরকার। সোভিয়েত ইউনিয়ন, হাঙ্গেরি, জার্মানি, মঙ্গোলিয়া ও ভারত থেকে লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন সম্মেলনে। ওই সম্মেলন থেকেই আজকের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা।
বিস্তারিত দেখুন কাজী ইমদাদের ভিডিও রিপোর্টে