আজ শোকাবহ ১৫ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সপরিবার নিহত হন বঙ্গবন্ধু। সকালে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোকের কর্মসূচি শুরু হয়।
৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অর্নার প্রদান করে। সে সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর মোনাজাত করা হয়। পরে দলীয় নেতা ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শ্রদ্ধা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
শোক আর শ্রদ্ধার কর্মসূচি থেকে জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের পর নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আজ তথাকথিত জঙ্গি উত্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই উত্থানকে আমরা স্তব্ধ করে দিতে পারবো।
জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এছাড়াও জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেত্রী সায়মা হোসেন পুতুল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সোমবার বনানী কবরস্থানে ৭৫’র ১৫ আগষ্টে নিহত পরিবারের সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মোনাজাত শেষে কবরে ফুল ছিটিয়ে দেন তারা। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বনানী কবরস্থানে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।