বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই কৃষিতে অসামান্য অর্জন এসেছে বাংলাদেশের। এখন সময় এসেছে সেই অর্জনকে পুঁজি করে রপ্তানি খাতকে তৈরী পোশাক নির্ভরতা থেকে বের করে আনা। আর কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি-সহায়তার সঠিক বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।
এফবিসিসিআই’র আয়োজনে এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
স্বাধীনতার ৫ দশকে গর্ব করার মতো যা কিছু অর্জন তার সবখানেই কৃষি, কৃষক এবং কৃষকের সন্তানদের শতভাগ অবদান। সহায়ক শক্তি হিসেবে সরকারের নীতি-সহায়তা সাহস যুগিয়েছে কৃষককে। মাটি এবং মানুষের নেতা হয়ে ওঠার বহু আগেই কৃষকের জন্য অন্যরকম দরদ দেখিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়ে কৃষক বাঁচাতে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
ডক্টর আতিউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় কৃষির অমিত সম্ভাবনা এবং বাঁধাগুলো তুলে ধরেন আলোচকরা। আলোচনায় অংশ নেন প্রান গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী এবং কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
কৃষি, কৃষক তথা তৃণমূলের উন্নয়ন শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার এবং এটা চলবে বলে আশ্বস্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক।
আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম।
আলোচনায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রন্তিক কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা এবং সরবরাহকারীর জন্য ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে শিগগিরই ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সাথে বৈঠক করবেন তারা।