ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাত ৩ শতাধিক নারী পুরুষের নামে বগুড়ার গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গাবতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জাকির হোসেন বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ।
গাবতলী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, গাবতলীতে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৫ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের একটি টিম নিহতদের বাড়ি গিয়ে তাদের লাশগুলো নিয়ে ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল ৫ জানুয়ারি গাবতলীর বালিয়াদীাঘি ইউনি য়নের কালাইহাটা গ্রামের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করে উপজেলা সদরে ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে চান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে আপত্তি তোলে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনুছ আলী ফকির ও তার সমর্থকরা। এক পর্যায় তারা ভোট কেন্দ্র ঘেরাও করে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে নারীসহ ৪জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া দুপুরে গাবতলী উপজেলার রামেশ্বপুর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের সময় জাকির হোসেন নামে একজনকে ঝারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।