বগুড়ার শেরপুরে বালু মহালে অভিযানের সময় ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ঘটনার রাতেই বালুদস্যুদের ভাড়াটে লোকজনের মারপিটে আহত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের নৈশপ্রহরী মো. মনজুরুল হক বাচ্চু বাদি হয়ে মামলায় করেন। সেই মামলায় ৮ জনকে আটক করা হয়।
উক্ত মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮০-৮৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে ৮ জনকে আটক করে।
আটকরা হলেন- উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মেহের আলীর ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (২৬), একই গ্রামের জাফর প্রামাণিকের ছেলে মো. আলম প্রামাণিক (৩৫), তোজাম প্রামাণিকের ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২০), আজিজার রহমানের ছেলে মো. ওসমান গণি (২৮), গোলাম প্রামাণিকের ছেলে মো. শাহিন শাহ (২০), গোলাম নবীর ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৫), পাশের নলডেঙ্গী গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে মো. রুবেল হাসান (৩০) ও একই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৭)।
এছাড়া মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- গজারিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মো. হানিফ (৪০), তার ভাই মোতালেব হোসেন (৪২), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. রাজু (২৫), নলডেঙ্গী গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে মো. মিলন (২৫), ওই গ্রামের মো. হায়দার আলী (৩০), আবু মুসা (২৫) ও জাবেদ আলী (৩০)।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হামলা-মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে উক্ত সংখ্যক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকেই উপজেলার শেরুয়া বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী সেখের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। এসময় খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী , নবীনগর ও নলডাঙ্গি এলাকায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর আসে। পরবর্তীতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে কাউকে না পাওয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সরঞ্জামগুলো খোলা হচ্ছিল। এসময় বালু উত্তোলনকারীদের ভাড়াটে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে চড়াও হন। এমনকি তারা উত্তেজিত হয়ে তার গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
এসময় তার সাথে অভিযানে থাকা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের অফিস সহকারি উজ্জল মোহন্ত ও নৈশ্যপ্রহরী মুঞ্জুরুল হক বাধা দিতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করে আহত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায় ।