যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের ওপর। এমনই ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটির নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য।
ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স দুর্বল হতে হতে ক্যাটাগরি এক হারিকেনে পরিণত হয়ে শুক্রবার আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের অঙ্গরাজ্যগুলোতে। আর এতেই তীব্র বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে পুরো এলাকা।
দু’দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে হওয়া ভয়াবহ বন্যায় কয়েকটি শহর ইতোমধ্যে ২ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি কমে আসতে আসতে এই পানির উচ্চতা অনেক জায়গাতেই সাড়ে ৩ ফুট (এক মিটার) ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাসে।
ফ্লোরেন্স দুই ক্যারোলাইনার ওপর দিয়ে পার হয়ে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উপকূল থেকে যত ভেতরে ঢুকছে, তত দুর্বল হচ্ছে ঝড়টি। কিন্তু তারপরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলো।
বিশেষ করে, ঝড় দুর্বল হতে হতে এগোনোর ফলে এর গতিবেগ কমে মাত্র ৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে তীব্র বৃষ্টিপাত আরও বেশি ডুবিয়ে দিচ্ছে।
ফ্লোরেন্সের আঘাতে এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে বিবিসি। তাদের মধ্যে ৭ মাসের একটু শিশুও রয়েছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার শনিবার ঘরে ফেরার চেষ্টারত লোকজনকে এমনটা না করতে সতর্ক করেছেন। কারণ রাজ্যের প্রত্যেকটি সড়কপথই বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনার ৮টি কাউন্টিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছ্নে। এর ফলে এলাকাগুলোতে উদ্ধার ও পুনর্বাসন কাজে কেন্দ্রী সরকারের সহায়তা পেতে সুবিধা হবে।
আগামী সপ্তাহে যে কোনো দিন তিনি ফ্লোরেন্স আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।