যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান ভোটের ব্যবধান খুব কম হওয়ায় মেশিনে ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ফ্লোরিডার রাজ্য সচিব কেন ডেজনার বলেছেন, ফ্লোরিডার গভর্নর ও সিনেটর – দু’টো পদের নির্বাচনেরই অনানুষ্ঠানিক ফলে দু’দলের প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য ০.৫ শতাংশেরও নিচে। তাই আইন অনুসারে ভোট পুনর্গণনা বাধ্যতামূলক।
ফ্লোরিডার সিনেট আসনের বেসরকারি ফলাফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিল নেলসন ও রিপাবলিকান রিক স্কটের মাঝে মাত্র ০.১৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধান পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গভর্নর পদে প্রথমেই বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের অ্যান্ড্রু গিলাম। কিন্তু পরে রিপাবলিকান প্রার্থী রন ডিস্যান্টিস বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে সেই পার্থক্য কমিয়ে মাত্র ০.৪১ শতাংশে নিয়ে আসেন।
ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্তে অবশ্য খুব ক্ষেপে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, এটা ডেমোক্রেটিক পার্টির ষড়যন্ত্র। ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচন ‘চুরি’ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৬ নভেম্বরের নির্বাচনে এ পর্যন্ত ঘোষিত সব ব্যালটের মধ্যে এ দু’টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যালটগুলোর অন্যতম। এজন্যই ফ্রোরিডা নিয়ে সরব ট্রাম্প।
Trying to STEAL two big elections in Florida! We are watching closely!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 10, 2018
ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রিক স্কট এবার সিনেটের জন্য লড়ছেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনিও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
তবে স্কট বা ট্রাম্প কেউই তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ধারণা করা হচ্ছে পুনর্গণনা শেষ হতে বেশ কয়েকদিন লেগে যাবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এটি নিয়ে বেশ কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে ফ্লোরিডা সরকারকে; যার ফলে বিজয়ী ঘোষণা হতে কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।