রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শপিংমলগুলোতে প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্রেতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ২৫ শতাংশ দোকানও বন্ধ হয়ে গেছে।
কেননা লোকসানের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় পুঁজি হারিয়ে এমন অবস্থা মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার পাশের দোকানপাট ও শপিংমলের ব্যবসায়ীদের। অথচ এক সময় এসব এলাকার ব্যবসা ছিলো রমরমা। কিন্তু ক্রেতাদের চিরচেনা সেই পদচারণা এখন আর নেই।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ। কথা ছিলো ২০১৬’র জুনে কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেই কথা রাখেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সময় বাড়ানো হয় আরো এক বছর। ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে আছে রাস্তার খানাখন্দ, আর পানি জমে দুর্বিসহ অবস্থা।
এর ফলে যেসব ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকায় ব্যবসা করছেন তারা পড়েছেন ক্ষতির মুখে। এমনই একজন মৌচাক মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী মিঠু ঘোষ। প্রায় ২০ লাখ টাকার লোকসানে দিশেহারা হয়ে তিনি ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
তার মতো স্বর্ণের ব্যবসায়ী সুজন পাল ও টেইলার্স ব্যবসায়ী সিদ্দিক মন্ডল ছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা আর লাভের মুখ দেখছেন না।
মগবাজার-মালিবাগ-মৌচাক ও বাংলামটর এলাকায় রয়েছে ছোট বড় প্রায় ৫০টি শপিং মল । ব্যবসায়ীদের দাবি ফ্লাইওভারের জন্য ঠিকমতো বেচাকেনা না হওয়ায় প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতির কথা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও স্বীকার করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে জনগণের জন্য উন্নয়ন অপরিহার্য, কিন্তু সেই উন্নয়নের জন্য যাতে দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে না হয় সেদিকেও নজর দেয়া উচিত।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: