মাত্র একদিন আগেই এক সাক্ষাতকারে পেপ গার্দিওলা বলেছেন, বিশ্বের অনেক ভালো কোচও অনেককিছু জিততে পারে না। কারণ তাদের সবার তো মেসি থাকে না। গুরুর এমন মন্তব্যের পরের রাতেই এলএমটেন দেখিয়ে দিলেন গার্দিওলা আসলেই খুব একটা ভুল বলেননি। মঙ্গলবার রাতে ফ্রি-কিক থেকে গোল করার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন বার্সেলোনা সুপারস্টার।
মেসির জাদুতেই রিয়াল ভ্যালাদোলিদকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৫-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অধিনায়ক মেসি নিজে জোড়া গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও দুটি গোল করান।
ম্যাচের দুই মিনিটে মেসির বামদিক থেকে করা ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ভ্যালাদোলিদ ডিফেন্ডাররা। সেখান থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক ভলি করেন ক্লেমেন্ট লেংলেট। তার ভলি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে।
এই গোলটা অবশ্য শোধ করেছিল ভ্যালাদোলিদ। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় টের স্টেগেনের ভুলে গোলবারের সামনে বল পেয়ে জালে জড়ান কিকো অলিভাস। এরপর খেলা হয়েছে এক তরফা। মেসি ম্যাচটাকে বানিয়ে নিয়েছেন নিজের। আর্তুরো ভিদাল এদিন একাদশে ছিলেন। দুই মিনিট আগেই হেডে গোল মিস করলেও, ২৯ মিনিটে আর ভুল করলেন না। মেসির উড়িয়ে মারা মাপা বল বক্সের ভেতর ঢুকে এক পা ছুঁয়ে দিয়ে গোল পেয়ে যান ভিদাল।
মিনিট পাঁচেক পর ২৫ গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিকে নিজের প্রথম গোল আদায় করে বার্সেলোনা অধিনায়ক। এটি ফ্রি-কিক থেকে তার ৫০তম গোল। ৭৫ মিনিটে রাকিটিচের উড়িয়ে মারা বল বক্সের ভেতর দারুণ এক টার্ন নিয়ে প্রথম সুযোগেই গোলে মারেন মেসি। এবার হাফ ভলিতে পেয়ে যান এক গোল।
এর দুই মিনিট পর চোখ ধাঁধানো এক থ্রু পাস দিয়ে সুয়ারেজকে গোল করতে সাহায্য করেন মেসি। সুয়ারেজের একটা চক্রও পূরণ হয়েছে ওই গোলে। লা লিগায় সুয়ারেজ যাদের বিপক্ষে খেলেছেন তাদের সবার বিপক্ষেই গোল করার রেকর্ড হয়ে গেছে তার। এতোদিন এই ভ্যালাদোলিদই বাকি ছিল।
ফ্রি-কিকের হাফসেঞ্চুরির মধ্য ৪৪ গোল বার্সার হয়ে, আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ছয়টি মেসির। এরমধ্যে এ মৌসুমেই পেলেন দ্বিতীয় গোল। এর আগে সেভিয়ার বিপক্ষে সেট-পিস থেকে গোল করেন মেসি।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বার্সা। তাদের সমান ম্যাচ খেলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইনম্বরে গ্রানাডা। তিনে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও ২০। তারা মঙ্গলবার রাতেই আলাভেসের সঙ্গে ড্র করে। ১০ ম্যাচ করে খেলে সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার ও পাঁচে যথাক্রমে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও সেভিয়া। ৯ ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়নম্বরে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।