বাজার থেকে কোন খাবার কিনে আনার পর সংরক্ষণের জন্য প্রথমেই মাথায় আসে রেফ্রিজারেটরে রাখার কথা। অথচ, এর ফলেই পাল্টে যেতে পারে আপনার খাবারের গুণাগুণ। পাঠকের জন্য আহ থাকছে সে সব খাবারের তালিকা যেগুলো কখনই ফ্রিজে রাখা ঠিক না।
টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে এর আকার ও স্বাদ বদলে যেতে পারে, অনেক সময় অতিরিক্ত নরমও হয়ে যেতে পারে। টমেটো তাড়াতাড়ি পাকাতে কাগজ বা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজের বাইরে রাখুন।
বীচিযুক্ত ফল
ঠাণ্ডা তাপমাত্রা অনেক সময় বীচিযুক্ত ফলের স্বাদ বদলে দেয়। পীচ, চেরী প্রভৃতি ফল সাধারণ কক্ষ তাপমাত্রাতেই ভালো থাকে। কাগজের প্যাকেটে মুড়িয়ে শুকনো জায়গায় রেখে দিলেই এগুলো ভালো থাকবে।
পেঁয়াজ
ফ্রিজের আর্দ্রতা পেঁয়াজকে নরম করে দেয়। ফলে, পেঁয়াজের স্বাভাবিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ঘরের অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গায় শুকনো অবস্থায় পেঁয়াজ রাখুন।
তেল
তেল ফ্রিজে রাখলে তা আরও ঘন এবং চিটচিটে হয়ে যেতে পারে। অলিভ অয়েল আর নারকেল তেল অধিক ঠাণ্ডায় জমে যায়। তবে, যে কোন ধরনের বাদামের তেল অবশ্যই ফ্রিজে রাখতে হবে।
গরম সস
সস বানিয়ে তা কখনই ফ্রিজে রাখা উচিৎ না। ভিনেগার ও অন্যান্য সংরক্ষণকারী উপাদান সসকে বাইরের তাপমাত্রাতেই ভালো রাখে।
রসুন
রসুন ফ্রিজে রাখলে তা রসুনের ভালো থাকার মেয়াদ আরও কমিয়ে দেয়, স্বাদেও পরিবর্তন আসে। কাগজের ব্যাগে রসুন ঢুকিয়ে তা ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখুন।
মধু
ফ্রিজের অতি ঠাণ্ডায় মধু জমে যায়। তাই বায়ুনিরোধক বোতলে ঢুকিয়ে রান্নাঘরে মধু রাখাই শ্রেয়।
পাউরুটি
ফ্রিজে পাউরুটি রাখলে তা আরও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তিন চারদিনের মধ্যে যতটুকু খাবেন ততটুকু পরিমাণ পাউরুটি ফ্রিজের বাইরে রাখাই ভালো। বাকিটুকু ফ্রিজে রাখতে পারেন।
আলু
ফ্রিজে না রেখে আলু শুকনো কাগজের ব্যাগে রাখুন। কেননা, ফ্রিজে রাখলে আলুর ভেতরের শর্করা উপাদান গুলো ভেঙে যায়, এতে স্বাদ পরিবর্তন হয়।