ফ্রান্সের প্যারিসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ সদস্যসহ অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, বিক্ষোভ থেকে এ পর্যন্ত ২৭০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার মধ্য প্যারিসে হলুদ পোশাক পরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং জলকামানে পানি ছোড়ে পুলিশ।
অন্যদিকে মুখোশধারী একদল আন্দোলনকারী কাছাকাছি কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়াও শনিবার একদল বিক্ষোভকারী লুভর মিউজিয়ামের একটি লোহার গেট টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করার সময় ভারী গেটটি আলগা হয়ে বেশ কয়েকজনের গায়ে এসে পড়ে যায়। এতে তারা সবাই আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
বিক্ষোভে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় জ্বালানি নীতি প্রয়োজন বলে মনে করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ফ্রান্সে সড়ক অবরোধ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তৃতীয় সপ্তাহান্তে এসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
গত সপ্তাহের বিক্ষোভে ২৩ নভেম্বর বিক্ষোভকারীদের হাই-ভিজিবিলিটি (স্বল্প আলোতে উজ্জ্বল দেখা যায়) জ্যাকেটের মতোই একটি হলদে-সবুজ জ্যাকেট পরে স্থানীয় সময় বিকেলে অন্যান্যদের সঙ্গে এসপাচে আনজু শপিং সেন্টারের সামনে আন্দোলনে যোগ দেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।
ওই সময় হাতে একটি গ্রেনেড উঁচিয়ে ধরে তিনি দাবি জানান যেন বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবন এলিসি প্রাসাদে ঢুকতে দেয়া হয়।
ওই দিন স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গ্রেনেডধারীকে নিরস্ত করতে। টানা পৌনে ছয় ঘণ্টা বাদানুবাদ আর আলোচনা শেষে রাত সাড়ে ১০টার কিছুক্ষণ আগে পুলিশের হাতে গ্রেনেডটি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি।