ফ্রন্টলাইনারদের পরিবারের সদস্যদের বয়স ১৮ হলেই ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন বিভিন্ন সংস্থা থেকে ২১ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আনতে সরকার চুক্তি করেছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট সমাধান, হাসপাতালগুলোতে সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে মতবিনিময় করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব সময়মতো পেলে বাংলাদেশ কোনো দেশ থেকে ভ্যাকসিনে পিছিয়ে থাকবে না। যথাসময়ে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যাবে।’
‘সবাইকে টিকার আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা দেশে পৌঁছেছে। ২৬ বা ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আনা হয়েছে। এগুলোতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যেসব টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোনো সমস্যা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামে বয়স্ক লোকজনকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। আমরা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও আগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের পরিবারের ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।