কর্তব্যে অবহেলা ও ফোন ব্যবহার করায় চার কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ যোসেফকে দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত কারারক্ষী শাওন হাওলাদারও রয়েছেন।
অন্যরা হলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী জুয়েল খান ও সুরুজ্জামান এবং রাজবাড়ী জেলা কারাগারের কারারক্ষী মেহের নবী। বরখাস্তের পাশাপাশি শাওন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত রোববার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। দায়িত্বরত অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগে শাওন, সুরুজ্জামান ও জুয়েল খান এবং মাদক সেবনের অভিযোগে মেহের নবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কারা ও ঢামেক সূত্র জানায়, কারা হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বন্দি যোসেফের দেখাশোনায় শনিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন শাওন হাওলাদার।
এদিন বিকেলে ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম হঠাৎ পরিদর্শনে ঢামেক হাসপাতালে যান। কিন্তু যোসেফের কক্ষে তিনি কাউকে পাননি। বাইরে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায় শাওনকে।
একইভাবে আফসার উদ্দিন নামে চিকিৎসাধীন এক বন্দীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত জুয়েল খান এবং সুরুজ্জামানের কাছেও মোবাইল ফোন দেখা যায়।
ডিআইজি তৌহিদ সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং জেলারকে চার জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ডিআইজি প্রিজন্স বলেন, বন্দীদের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কারারক্ষীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার সময় আসামিদের পালানোর ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া কারারক্ষীদের কাছে মোবাইল ফোন থাকলে অবৈধভাবে বন্দীদের ব্যবহারের আশঙ্কাও থাকে।
অন্যদিকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে রাজবাড়ী কারাগারের কারারক্ষী মেহের নবীর বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনের প্রমাণের ভিত্তিতে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদ।