মডেল-অভিনেত্রী সারিকার বিরুদ্ধে শুটিং কিংবা শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অনেক নির্মাতার শিডিউল ফাঁসিয়ে তিনি বিপাকে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ একাধিক নির্মাতার। সর্বশেষ গেল বছর এপ্রিলে মানিকগঞ্জে রাঙাপরি মেহেদির বিজ্ঞাপনের শিডিউল ফাঁসান তিনি।
ঠিক একবছরের মাথায় আবারও শিডিউল ফাঁসিয়ে খবরে সারিকা। বুধবার (২১ মার্চ) ৩টার ফ্লাইটে এ অভিনেত্রীর নেপাল যাওয়ার কথা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল নাটকের শুটিং। কিন্তু সময়মতো নির্মাতা ও অন্যান্য শিল্পী কলাকুশলী উপস্থিত হলেও এয়ারপোর্টে ছিলেন না সারিকা। চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন নির্মাতা আসাদুজ্জামান আসাদ।
এমন অভিযোগের পর সারিকার সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। সারিকার এমন অশিল্পীসুলভ আচরণে চরম বিপাকে নির্মাতা। কারণ তিনি সারিকাকে নিয়ে নাটকের শুটিংয়ে নেপাল যাচ্ছিলেন। কোনো উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত সারিকাকে ছাড়াই পুরো টিম নেপাল উড়াল দেয়।
এ প্রসঙ্গে নেপাল থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমি ইউনিটের অন্যান্যদের নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম। তিনটায় ফ্লাইট থাকলেও আমরা সেখানে সকাল দশটা থেকে উপস্থিত ছিলাম। তখন সারিকার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। তিনি যথাসময় আসবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যায়, অপেক্ষার পালা শেষ হয় না।
এক পর্যায়ে আমরা যখন বোর্ডিং নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে যাই তখনও তার কোনো খবর নেই। ইউনিটের সবাই তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে তার পারিশ্রমিকের অগ্রীমসহ ভিসা-টিকিট সবই দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সারিকাকে ছাড়াই আমরা নেপালে চলে যাই।’
নির্মাতার করা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সারিকার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুধে বার্তা পাঠালেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ, কোনো সাড়া দেননি।
এই ঘটনার পর মিডিয়ায় সারিকাকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা অনেকেই সারিকার এমন আচরণের জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছেন। তারা মনে করেন, জবাবদিহিতা নেই বলেই শিল্পীরা শিডিউল ফাঁসানোর সাহস করেন। এর বিরুদ্ধে সবার সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
নেপালে আসাদুজ্জামান আসাদের পাশাপাশি নির্মাতা দীপু হাজরাও গিয়েছেন একই ইউনিটের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ, তানজিন তিশা, জোভান, নাবিলা ইসলাম, তানভীর প্রমুখ। সেখানে ঈদকে টার্গেট করে ৮টি খন্ড নাটক, টেলিফিল্ম ও ১টি ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং হবে বলে জানা গেছে।