জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে। এ সময় শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা কম থাকায়। মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মাছ, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমেছে। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পিকনিক ও বিয়ের মৌসুমেও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। বরং কমেছে। পেঁয়াজ আকাশ থেকে মাটিতে নামছে। এ কারণেও কমছে মূল্যস্ফীতির হার।
তবে সামনে হয়তো মূল্যফীতি বাড়তে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। করোনার কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করি। কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করার কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।
এম এ মান্নান বলেন, পদ্মাসেতুর স্প্যান এখন ও দু’একটা বাকি রয়েছে, সেগুলো চিনের উহানে তৈরি হয়। ফলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা হলে আমাদেরও হবে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পন্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।