চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ফুটবল ভালোবাসলে, মেসিকে ভালোবাসতেই হবে’

লিওনেল মেসিকে নিয়ে আবেগটা কখনোই লুকানোর চেষ্টা করেন না আর্সেন ওয়েঙ্গার। সময়-অসময়ে নিজের মেসিপ্রীতির খবর বেশ ফলাও করে জানান দেন আর্সেনালের বর্ষীয়ান কোচ। আরও একবার আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, মেসিকে ভালোবাসাটা ফুটবলেরই অংশ।

অনেকটা অনিশ্চয়তার মাঝে থেকেই শেষ পর্যন্ত ২০১৮ বিশ্বকাপের সরাসরি টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। একটা সময় দুবারের বিশ্বজয়ীদের রাশিয়ায় যেতে পারা নিয়ে জোর শঙ্কা ছিল। তখন আতঙ্কে ছিলেন ওয়েঙ্গারও।

শেষপর্যন্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের মাঠে হ্যাটট্রিক করে দেশকে বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন মেসিই। ফুটবল জাদুকরের সেই হ্যাটট্রিককে ঘিরে মুগ্ধতার কমতি নেই গানার কোচের।

‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি যে মেসি বিশ্বকাপে যাচ্ছে। আমি দারুণ কষ্ট পেতাম যদি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে না যেতে পারত। তাদের দারুণ কিছু আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আছে। আবার প্রতিভার অপচয়টাও সেখানেই বেশি। তারপরও আমি বলতে চাই, সত্যিই কষ্ট পেতাম যদি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে না যেত।’

আর্জেন্টিনাকে অনেকটা নিজের কাঁধে চড়িয়ে বাছাইপর্বের বৈতরণী পার করিয়েছেন মেসি। তাই পাঁচবারের বিশ্বসেরা ফুটবলারের প্রশংসায় আরও একবার পঞ্চমুখ ওয়েঙ্গার, ‘আপনি যদি ফুটবল ভালোবাসেন, তাহলে মেসিকে ভালোবাসতেই হবে। ফুটবল ভালোবাসলে, আর্জেন্টিনাকেও ভালোবাসতে হবে।’

পাশাপাশি গানার কোচ সমালোচনা করেছেন ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের পদ্ধতি নিয়েও। একই মহাদেশ থেকে একসঙ্গে এত দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়া, ছোট ছোট দলের সঙ্গে বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া ইউরোপিয়ান ফুটবলের ক্ষতি করছে বলেই মত তার।

‘আসলে আমরাই ইউরোপকে দূষিত করছি। কেবলমাত্র ইউরোপ থেকে ১৩টি দল বিশ্বকাপ খেলে। বেশির ভাগ দলই ছোট ছোট দলের বিপক্ষে বাছাইপর্বে খেলে বিশ্বকাপে যায়। এবারও তাই হয়েছে। কেবলমাত্র হল্যান্ডের গ্রুপ বাদে। ফ্রান্স এবং সুইডেন থাকায় গ্রুপটি কঠিন ছিল। আর বাকি গ্রুপ ছিল খুবই সহজ।’

‘অন্যদিকে যদি সাউথ আমেরিকার দিকে তাকান, দেখবেন সেখানে কোন দলেরই বিশ্বকাপ নিশ্চিত নয়। কী ব্রাজিল, কী আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া-চিলি! কারও ভবিষ্যৎ আগে থেকে বলে দেয়া সম্ভব নয়। তারা লড়াই করেই মূলপর্বে জায়গা পায়। আর এজন্যই তারা বিশ্বকাপে ভাল খেলে।’