সকাল থেকে নানা কর্মসূচি। দুপুরের পর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। সেটাও শেষ হল। সাংবাদিকদের সঙ্গে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তারা কথাও সেরে ফেললেন। এত সময় কেউ খেয়ালই করেননি, যে শেখ জামালের হাত ধরে এই ক্লাব প্রতিষ্ঠিত তার মৃত্যুদিবসে ক্লাবের ফুটবলারদেরই খোঁজ নেই!
কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হলেন না। কিছুক্ষণ পর ঠিকই বিষয়টি নিয়ে ক্লাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বোমা ফাটালেন। কিছুতেই তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। বারবার বলছিলেন, ‘সব খেলোয়াড়কে নিয়মিত পারিশ্রমিক দেয়া হয়। এটা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা স্মরণে অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে জাতির জনকের অনুষ্ঠান। এমন দিনে খেলোয়াড়দের উপস্থিত না থাকাটা মেনে নেওয়া যায় না।’
মঙ্গলবার ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২-তম শাহাদাতবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫’র এইদিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ২৬ সদস্যকে। তাদেরই একজন এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র।
দিনব্যাপী কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের পরিচালক, গভর্নিং বডির সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী-সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার সময় ফুটবলার এবং ম্যানেজারকে না দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন ক্লাবের পরিচালক নজিব আহমেদ। ফোন দিয়ে ম্যানেজারের কাছে কারণ জানতে চান। এসময় ম্যানেজারের সঙ্গে তাকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও করতে শোনা যায়।
ক্লাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা বিব্রত। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। একটা ক্লাবে খেললে সেই ক্লাবের সব নিয়মকানুন সবার মেনে চলা উচিত। তাছাড়া আজকে বাঙালি জাতির জন্য বিশেষ একটি দিন। আমাদের ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু বার্ষিকী। তার স্মরণ অনুষ্ঠানে তো সবার থাকা উচিত।’