ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বক্তব্যকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, কেরির বক্তব্য ইসরাইলি বসতি স্থাপনের ব্যাপারে ‘ভারসাম্যহীন’ এবং ‘অতিরিক্ত আগ্রহী’। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে “ফিলিস্তিনের অবিরাম সন্ত্রাসী প্রচেষ্টার পক্ষে কথা দিয়ে সহায়তা দিয়েছেন” বলেও অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন ইসরাইলের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না বলেই যত দ্বন্দ্ব-সংঘাত। কিন্তু জন কেরি “এই সরল সত্যটাই দেখতে পাচ্ছেন না” বলে দাবি করেন তিনি।
জন কেরি তার বক্তব্যে বলেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই দেশ ধারণার ভিত্তিতে শান্তি প্রক্রিয়া চরম বিপদের মুখে রয়েছে। সেই বিপদ রুখতেই যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবারের প্রস্তাবনায় ভেটো দেয়া থেকে বিরত ছিল। ইসরাইলিরা এর উল্টোটা দাবি করলেও, ইহুদিদের অবৈধভাবে ভূমি দখল ও বসতি স্থাপনের প্রতি জাতিসংঘের নিন্দা আমেরিকান মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
কেরি বলেন, “দুই-দেশ সমাধানই একমাত্র উপায়, যা ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি ন্যায়সঙ্গত এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি এনে দিতে পারে। এর মাধ্যমেই ইসরাইল একটি ইহুদি এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারবে।”
“ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সবার সামনে দুই-দেশ ধারণাকে সমর্থন করলেও তার বর্তমান জোটটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ডানপন্থি একটি জোট, যার এজেন্ডায় খুব বেশি চরমভাবাপন্ন কিছু উপাদান রয়েছে,” বলেন কেরি, “এর ফলে ইসরাইল সরকারের নীতিমালা, এমনকি যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি বসতি বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এর সবকিছু উল্টোদিকে এগোচ্ছে। তারা (ইসরাইল) ‘এক-দেশ’ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার টুইটারে ইসরাইলের সমর্থনেই কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, দেশটিকে কেউ “তাচ্ছিল্য ও অসম্মানের” সঙ্গে দেখবে, তা তিনি হতে দেবেন না।
জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ইসরাইলকে ‘শক্ত থাকতে’ বলেছেন।