ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পর টাইফুন মাংখুত এবার ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে।
দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গুয়াংডংয়ে মাংখুতের আঘাতে এরই মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
টাইফুনের প্রভাবে গুয়াংডংসহ আশপাশের এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। গুয়াংডং এবং হাইনান দ্বীপ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে।
রোববার বিকেলে চীনের দক্ষিণে মাংখুত আঘাত হানে। তার আগেই অবশ্য সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
টাইফুনটি এখন উপকূল হয়ে চীনের ভেতরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সোমবারই দিনের শেষ ভাগে ঝড়টি গুইঝাউ, চংকিং এবং ইউনানে আঘাত হানবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এর আগে মাংখুত প্রথমে ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ায় সেখানে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। তাদের বেশিরভাগই ভারী বৃষ্টির কারণে হওয়া ভূমিধসে চাপা পড়ে মারা গেছে।
টাইফুন মাংখুতের আঘাতে হংকংয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
হংকংয়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বড় বড় আবাসিক ভবনগুলো তীব্র বাতাসের তোড়ে দুলছে। টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ছে নির্মাণাধীন ভবন।
Another one captured by our @CNBCi team in Hong Kong. #TyphoonMangkhut pic.twitter.com/z5h2qXeBhp
— Akiko Fujita (@AkikoFujita) September 16, 2018
উপকূলবর্তী অনেক ভবনে ৩/৪ তলা সমান উঁচু ঢেউ আঘাত করতেও দেখা গেছে ভিডিওচিত্রে।
মাংখুতকে গত কয়েক দশকে ওই এলাকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের একটি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।