চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফিলিপিন্সের নির্বাচনে জয়ী প্রয়াত স্বৈরশাসকের পুত্র

ফিলিপিন্সের প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ “বংবং” মার্কোস জুনিয়র দেশটির পরবর্তী শাসক হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।

ফিলিপিন্সের গণমাধ্যম সূত্রে এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফিলিপিনো ভোটাররা তার উত্থান দেশটির ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে এমন সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছে মার্কোস জুনিয়রকে।

প্রাথমিক গণনার ৯০ শতাংশেরও বেশি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দেখা যায় মার্কোস জুনিয়র প্রায় ৩ কোটি ভোট পেয়েছিলেন, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উদারপন্থী প্রার্থী লেনি রব্রেডোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।

১৯৮৬ সালে মার্কোস সিনিয়র এবং ফার্স্ট লেডি ইমেল্ডা মার্কোসকে জনগণ বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে নির্বাসনে পাঠায়। কিন্তু এই নির্বাচনে মার্কোস জুনিয়রের প্রচারণায় তার পরিবারের নৃশংস ও দুর্নীতিগ্রস্থ শাসন ব্যবস্থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিন্ন তথ্য দিয়ে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়।

সেইসাথে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সাথে তার নৈকট্য তাকে আরও সমর্থন পেতে সাহায্য করে।

তবে বিভিন্ন অধিকারকর্মী, ক্যাথলিক নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নির্বাচনের আগেই সতর্ক করেছিলেন মার্কোস জুনিয়র বড় ব্যবধানে জয়ী হলে তার শাসনকার্য হতে পারে আরও কঠোর।

গতকাল গভীর রাতে ম্যানিলা থেকে দেয়া এক ভাষণে একজন ক্লান্ত কিন্তু উদীপ্ত মার্কোস গত কয়েক মাসের ‘ত্যাগ এবং কাজের’ জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান। তবে সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগ অবধি তিনি বিজয়ের দাবি করা থেকে বিরত ছিলেন, সমর্থকদেরও তাই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘গণনা এখনও শেষ হয়নি’ বলে।

এরপর তিনি সবাইকে শতভাগ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শতভাগ ফলাফল জানার পরেই তা উদযাপন করা যাবে।

অন্যদিকে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা আতশবাজি পুড়িয়ে, জাতীয় পতাকা নেড়ে এবং পার্ক করা গাড়িতে উঠে বিজয়ের স্লোগান দিতে থাকে।

ম্যানিলার দে লা স্যালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ক্লিভ আর্গুয়েলেস ফিলিপাইনের জন্য এই নির্বাচনকে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।