চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফিরে দেখা ২০২১: অশোভন কথা-বার্তায় পদ-পদবী হারানোর বছর

করোনার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গন মোটামুটি নিরুত্তাপ থাকায় এ বছর বক্তৃতা-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ ছিলো সরকারি দলের রাজনীতি। এর মধ্যেও কিছু সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে, দলকে বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা বিব্রত করেছে।

বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে সরকারি দলের নানা পর্যায়ের মেয়ররা জড়িত ছিলেন। তাদের প্রায় সকলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগের বছরের মতোই এ বছরে শুরু থেকে আলোচনায় ছিলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সেখানে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। পরে তিনি নিজেকে আড়ালে নিয়ে যান।

সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে গাজীপুরের মেয়র এবং গাজিপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।

একই কারণে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তাকে স্থায়ীভবে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠিয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। রাজধানীর একটি হোটেল থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুধু কয়েকজন মেয়র নন, লাগামহীন কথাবার্তার জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসানকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠিয়েছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
বড় পদে না থাকলেও মুখ ফসকানো কথার জন্য সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহীর তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
মুখের লাগাম ধরে রাখতে না পারার উদাহরণ আছে বিরোধীদলেও। নিজের বক্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
কথামালার রাজনীতিতে অশোভন বক্তব্য যে এগুলোই প্রথম, তা নয়। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বেশি। রাজনীতিকদের তাই নিজেদের স্বার্থে সতর্ক হওয়ার পরামর্শের পাশাপাশি বক্তৃতা-বিবৃতির সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আনার কথা বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি একটি শিল্প, সেখানে সমালোচনা থাকবে, তীর্যকতা থাকবে, কিন্তু কোনভাবেই তা যেন অশোভন না হয়।