নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিনের মাথায় খবর মিললো ৮৫ বছর বয়সী মতিউর রহমানের। রাজধানীর উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন এক রিকশা চালক।
গত ২১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় তিনি কলাবাগানের বাসা থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর বাসায় ফেরেননি। সব জায়গায় খোঁজ করলেও তার কোনো খবর না পেয়ে থানায় জানানো হয়। এছাড়াও ফেসবুকে নিখোঁজ সংবাদ শেয়ারের মধ্য দিয়েও মতিউর রহমানের খবর পেলে পরিবারকে জানানোর অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে খবরও প্রচার করে চ্যানেল আই অনলাইন।
অবশেষে শুক্রবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিন দুপুরের দিকে উত্তরার আজমপুরে এক রিকশা চালক তাকে পথে ঘুরতে দেখতে পান।
এসময় মতিউর রহমানের পরনে কোনো পোশাক, এমনকি পায়ে স্যান্ডেলও ছিলো না। তিনি রিকশা চালককে ডেকে নিজের নাম মতিউর রহমান এবং বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর জানিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য চান।
ওই অবস্থায় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী তার কাছে থাকা একটি শার্ট ও একটি ট্রাউজার মতিউর রহমানকে পরার জন্য দেন। এরপর তাকে উত্তরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সব থানায় আগে থেকে জানিয়ে রাখার কারণে সহজেই তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উত্তরা থানা থেকে মতিউর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয় কলাবাগান থানায়। সেখান থেকে তিনি ফোন করে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে মানসিকভাবে কিছুটা অসংলগ্ন হওয়ায় ছেলেদের চিনতে পারছিলেন না তিনি।
অসুস্থবোধ করায় কলাবাগান থানা থেকে মতিউর রহমানকে শমরিতা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর আপাতত তিনি কিছুটা ভালো আছেন। তবে গত কয়েকটা দিন কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন, সেসব মনে করতে পারছেন না তিনি।
অসুস্থ মতিউর রহমানকে হারিয়ে ফেলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো তার পরিবার। ৫ দিন পর ঈদের দিন তাকে ফেরত পেয়ে যেন ঈদের সবচেয়ে বড় উপরহারটাই পেয়েছেন তারা। হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের দেখে ঠিক করে চিনতে না পারলেও স্বস্তির সঙ্গে বললেন, ‘অনেকদিন পর তোমাদের দেখলাম।’