জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্দেশ্যে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনটি ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কানাডা প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কাজী মামুন। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডোর সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন:
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের (তখনকার কানাডার প্রধানমন্ত্রী) সমর্থক ছিলেন, ছিলেন স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম বন্ধু!’
এরপর বঙ্গবন্ধুর খুনির কানাডায় আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন কাজী মামুন: ‘দুঃখজনক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের একজন নূর চৌধুরী ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই কানাডায় এসে পালিয়ে আছে!’
কিন্তু এর পরের বাক্যেই আশা ফুটে উঠেছে মামুনের লেখার মধ্য দিয়ে। তিনি লিখেছেন:
‘শেখ হাসিনা কানাডা আসছেন।
স্বাগতম তাকে!
কানাডার আইন অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। তবে আমি নিশ্চিত শেখ হাসিনা চাইলে পারবেন। ‘তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না যাবৎজীবন জেল দেয়া হবে’ এমন শর্তও যদি দিতে হয়, তবু ফিরিয়ে নেয়া হোক নূর চৌধুরীকে।
কলঙ্কমুক্ত হোক দুই দেশ!’
স্ট্যাটাসের সঙ্গে পোস্ট করা ছবিগুলোর একটি বাংলাদেশে পিয়েরে ট্রুডোর বাংলাদেশ সফর নিয়ে ১৯৮৩ সালের ২১ নভেম্বর ওটাওয়া সিটিজেন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষ, একটি গত জি-সেভেন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাস্টিন ট্রুডোর হাসিখুশি আলাপের এবং শেষ ছবিটি পিয়েরে ট্রুডোর।