৩২ দল নিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের আসর বসার কথা কাতারে। দল বাড়িয়ে সেই সংখ্যাটা ৪৮ করা যায় কিনা এ নিয়ে দেশটিকে ভাবনা-চিন্তা করার অনুরোধ জানিয়েছিল ফিফা। প্রয়োজনে প্রতিবেশি উপসাগরীয় দেশগুলোরও সাহায্য চাওয়ার জন্য কাতারকে পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
কিন্তু হুট করে চাইলেই যে এমন ইচ্ছাপূরণ সম্ভব নয় সে বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) প্রধান সংগঠক নাসের আল-খাতের। কাতারের এই ফুটবল কর্মকর্তার মত, ফিফার ইচ্ছাপূরণ এখন প্রায় অসম্ভব!
‘এটা এখনো নিছকই এক ভাবনা। আর এনিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো ঠিক করা হয়নি!’
দল বাড়লে প্রয়োজন পড়বে বাড়তি স্টেডিয়াম ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধারও। তাই প্রয়োজন বুঝে কাতারকে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাহায্য নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল ফিফা। চাইলে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের যেকোনো এক বা একাধিক দেশকে সঙ্গে নিয়ে কাতারকে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বলেছিল সংস্থাটি।
কিন্তু চাইলেই তো হবে না, ভাবতে হবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়েও। বিশ্বকাপের বাকি আর তিন বছর, এরইমধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণসহ খুঁটিনাটি কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে কাতার। কিন্তু বাকি সহযোগী দেশগুলো কী পারবে মাত্র তিন বছরে বিশ্বকাপের মতো মহাযজ্ঞ আয়োজনের ব্যবস্থা সারতে?
সমস্যা এখানেই শেষ নয়। সহযোগী দেশ হওয়ার জন্য যে পাঁচ দেশের নাম সুপারিশ করেছিল ফিফা তাদের মধ্যে বাহরাইন, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত এরইমধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে বসে আছে কাতারের উপর। ফিফা যতই দাবি করুক খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি কোনো সম্পর্ক নেই, একটি বিরূপ মনোভাবাপন্ন দেশের সঙ্গে মিলে নিশ্চয় নিজেদের পরিশ্রম ভাগাভাগি করতে চাইবে না কাতার!
সবদিক বিবেচনা করে তাই ফিফার চাওয়াতে কাতারের না বলার সম্ভাবনাই বেশি। নাসের আল-খাতেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমনটা হওয়ার নয়।
‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার মনে হয় না দ্রুত এমন একটা আয়োজন করা সম্ভব! আমাদের বাকি দেশগুলোকে তাদের সক্ষমতা বুঝে দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। তবে এটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে এই কাজগুলো সারার জন্য সময় আছে আর মাত্র তিন বছর!’