ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে উমর আকমলকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর থেকে নানা কথা উঠছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে। দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা বলছেন ফিক্সিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হোক। তাতে ফিক্সিং খানিকটা কমবে। রশিদ লতিফ অবশ্য বলছেন খানিকটা ভিন্ন কথা। সাবেক উইকেটরক্ষকের মতে, ফিক্সিং অপরাধ হিসেবে গণ্য হলে ফাঁসবেন বোর্ডের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই!
অতীতে অনেকবারই ফিক্সিংয়ের তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা, এমন দাবি করে ক্রিকেট পাকিস্তানকে লতিফ বলছেন বেশিরভাগ কর্মকর্তাই এরসঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তদন্ত গেলে প্রায় সবাইকেই জেলে থাকতে হবে বলে মত তার।
‘অতীতে তদন্তে অনেকবার হস্তক্ষেপের ইতিহাস আছে। কর্তৃপক্ষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। সেজন্য আমরা নতুন আইন তৈরি করতে বলছি, অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বলছি। একে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই গারদের পেছনে থাকবেন। তাহলেই আমরা জানতে পারবো আসল অপরাধী কে।’
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা সময়মত না জানানো আর খেলোয়াড়দের ইচ্ছা শক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লতিফ। এমনও দাবি করেছেন যে, তার কাছে অতীতের এমনকিছু ভিডিও আছে যেখানে দেখা যাবে অনেক খেলোয়াড় ফিক্সিংয়ের তথ্য লুকিয়েছেন এবং এসব প্রকাশ্যে আসলে দেশেই হৈচৈ লেগে যাবে।
‘এই যে মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজের মতো খেলোয়াড়রা, আপনি জানেন এরা কখন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং কখন? এমন কতজন আছে যারা প্রতিবেদন জমাই দেয়নি? আমার কাছে এমন অনেক ভিডিও আছে। এগুলো প্রকাশ্যে আনতে চাই না। কারণ তাতে পাকিস্তানকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হবে।’
ক্রিকেট নিয়ে সবাইকে ভুল বোঝানো হচ্ছে দাবি করে কিছু তারিখের কথা বলেছেন লতিফ। যেখানে তার ইঙ্গিত কিছু বিতর্কের, ‘সবাইকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে কী হয়েছিল, কিংবা ৯ ফেব্রুয়ারি ম্যাচের দিনই বা কী হয়েছিল। কেন ফোনগুলো পাকিস্তানে এনে ১২ ফেব্রুয়ারি খোলা হল, আর ১৭ ফেব্রুয়ারিতেই বা কেন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হল? কেন ব্যাটের গ্রিপ এত পরিষ্কার?’