সারাদেশের ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধংসের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিপণনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
ওষুধের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও সংরক্ষণ বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও উপ পরিচালক,পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও মহাসচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট আজ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, সংরক্ষণ ও সরবরাহকারীদের সনাক্ত করতে পৃথক অনুসন্ধান কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং কমিটি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুন এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন: ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। এরপর এ বিষয়ে সংবাদপত্রে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তা যুক্ত করে ১৭ জুন হাইকোর্টে রিট করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ রুলসহ আদেশ দিলেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।