রাজশাহী বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীসহ দুইজনকে হত্যায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ফারুক ও গফুরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সেই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেতার ও সামাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তার সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজালাল ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা রাজশাহী বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করে। সে সময় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে আইয়ুব নামে আরেকজনকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিচার শেষে ২০০৫ সালে বিচারিক আদালত ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তদের খালাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড বহাল রাখেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ৬ জনের মধ্যে বিকাশ পলাতক, সে কখনো আপিল করেনি। আর মতিউর রহমান নামের আরেক আসামি মারা গেছেন। আজ আপিল বিভাগ ফারুক ও গফুরে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সেতার ও সামাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।’