চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিজেকে এখন ৩০ বছরের যুবক মনে হচ্ছে: ফারদিন খান

মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ট্রলেরও শিকার হয়েছি: ১৮ কেজি ওজন কমানোর পর ফিট ফারদিন খান

বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ফারদিন খান। যদিওবা দীর্ঘ ১০ বছর পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি আবারো নতুন লুক নিয়ে আলোচনায় ফিরেছেন এই অভিনেতা।

মূলত ‘দিল বেচারা’ সিনেমার পরিচালক ও কাস্টিং ডিরেকটর মুকেশ ছাবড়ার অফিসের বাইরে দেখা যায় ফারদিনকে। সম্পূর্ণ নতুন লুকে দেখা গেছে তাকে। শারীরিক গঠনে এসেছে পরিবর্তন। ওজন কমিয়ে সম্পূর্ণ ফিট ‘হেই বেবি’র এই অভিনেতা। নতুন লুকে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই সবার নজরে এখন ফারদিন।

এদিকে পরিচালক মুকেশ ছাবড়া জানান, হ্যাঁ। সত্যিই বলিউডে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা করছেন ফারদিন। তারই প্রেক্ষিতে তার ফিটনেসের এই আমূল পরিবর্তন নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ই-টাইমস সম্প্রতি ফারদিন খানের একটি সাক্ষাতকার নেয়। সেই আলাপচারিতায় উঠে আসে ফারদিনের এই পরিবর্তনের রহস্য সম্পর্কে:

দীর্ঘসময় পর আবারো আপনাকে দেখা গেল। পর্দায় ফিরবেন কি?
হ্যাঁ, আসলেই দীর্ঘ সময়। আসলে আমি ২০১০-১১ মধ্যেই পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলাম। সেখানেই এতদিন থেকেছি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এসেছিলাম ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য। তবে খুব শিগগির আবারো উড়াল দিব লন্ডনের উদ্দেশ্যে। কারণ পরিবার এখনো সেখানেই অবস্থান করছে।

বেশ মুটিয়ে গিয়েছিলেন এক সময়ের দারুণ অভিনেতা ফারদিন খান

তবে কি আপনাকে আর পর্দায় দেখা যাবে না?
১৯৯৮ সালে বাবার (ফিরোজ খান) হাত ধরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলাম আমি। তবে ২০১০ সালের পর ফিল্ম থেকে ক্ষাণিকটা দূরে সরে গেছি। এমনটা না যে অভিনয় শিল্পকে ভালোবাসি না। এখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করাকে মিস করি। তবে লন্ডনে চলে যাওয়ার পর এবং বাবা হওয়ার পর অনেক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। আমার স্ত্রী সন্তানেরা যেহেতু বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছে, সেহেতু পুরো সময় ভারতে আমার অবস্থান করা এখন কঠিন। আমি পরিবার নিয়েই থাকতে চাই। তারাই আমার প্রথম প্রায়োরিটির জায়গা। তবে হ্যাঁ, সিনেমাতে এখন দারুণ পরিবর্তন এসেছে এবং প্রত্যকেই দুর্দান্ত অভিনয় করেন। সিনেমার কনটেন্টেও পরিবর্তন এসেছে। সেখান থেকে চিন্তা করলে সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পেলে মিস করতে চাইনা।

চলমান করোনাকাল কীভাবে কাটিয়েছেন?
করোনাকালের শুরু থেকেই সময়টা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটা মুহূর্ত আতঙ্কে কাটিয়েছি। নিজের চেয়েও পরিবার ও বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে আতঙ্কে ছিলাম। তবে বিষয়টি এমন না যে অল্প বয়ষ্কদের জন্য করোনার কোন রিস্ক নেই। ছোট বড় নির্বিশেষে সবাইকে এই ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।

করোনাকালে সবার জন্যই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ওটিটি প্লাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ বিষটিকে কীভাবে দেখছেন আপনি? কখনো সিনেমা নির্মাণ কিংবা পরিচালনা করলে কি ওটিটি প্লাটফর্মকে বেশি গুরুত্ব দিবেন?
অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল সিনেমার প্রযোজনা কিংবা পরিচালনায় নাম লেখাবো। তবে আপাতত এই বিষয় থেকে দূরে আছি। এখন যদি কিছু করতেই হয় তবে সেটি অভিনয়ই করতে চাই।

মাঝে আপনার ওজন অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, কমালেন কীভাবে?
বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রত্যকটি মানুষেরই শারিরীক কিছু পরিবর্তন আসে, যার ব্যতিক্রম আমার ক্ষেত্রেও হয়নি। একটা সময় এমন হয়েছিল যে আমার মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে আমার ভক্ত অনুরাগীরা আমাকে নিয়ে ট্রলও করেছিল। তবে পরবর্তীতে আমি নিয়ম মাফিক খাবার ও কঠোর ওয়ার্কআউট করে নিজেকে ঠিক করেছিলাম। শুধু তাই নয়, ছয় মাসে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে ছিলাম। আমার টার্গেট ছিল নিজের শারীরিক পরিবর্তন ঘটিয়ে মানসিক ভাবে নিজেকে ২৫ বছরের তরুণে পরিণত করা।

প্রচুর পরিশ্রম করে আবার নিজেকে ফিট করে তুলেছেন তিনি

তাহলে কি এখন নিজেকে মানসিকভাবে ২৫ বছরের তরুণ মনে করছেন?
না, এখন পর্যন্ত নিজেকে ৩০ বছরের যুবক মনে হচ্ছে। তবে টার্গেট আমার ২৫।

দীর্ঘ সময় পর যে আবারও পর্দায় ফিরছেন এ ব্যাপারে বাবার (ফিরোজ খান) কোন পরামর্শ নিয়েছেন?
আমার বাবা প্রচণ্ড দারুণ আর সৎ একজন মানুষ। তিনি সব সময়ই আমার অনুপ্রেরণা। আমাকে সর্বদাই তিনি ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাবার একটি কথা সব সময় আমার মাথায় থাকে, সেটি হলো ‘যদি তুমি নিজে চাও এবং চেষ্টা করো ভালো থাকার তবে তুমি কখনো ব্যর্থ হবে না’। আমি সবসময় এই কথাটাকে বিশ্বাস করি।