চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফাইনালের আগে ইংলিশদের ‘কানে তুলো’

একটা দল গতবারের রানার্স-আপ। আর অন্য দলটি ২৭ বছর পর পৌঁছেছে বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে। কিন্তু বিশ্বজয়ের স্বাদ থেকে দুই দল বঞ্চিতই থেকেছে। তাই এবার নতুন ইতিহাস রচিত হবে বিশ্ব ক্রিকেটে। কিন্তু প্রশ্ন হল সোনালি অক্ষরে কার নাম লেখা থাকবে ইতিহাসে? মাঠে বল গড়ানোর আগে কিন্তু পাল্লা ভারী হোম ফেভরিটদেরই।

গত দুটি বিশ্বকাপের দিকে তাকালে দেখা যাবে, হোম ফেভরিটরাই ট্রফি ঘরে তুলেছে। ২০১১তে ভারত আর ২০১৫তে অস্ট্রেলিয়া। এবারও প্রথম থেকেই ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিল ইংল্যান্ড। আর প্রত্যাশা মতোই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছেন মরগানরা।

ক্রিকেটের ‘তীর্থভূমি’তে এখনো নেই বিশ্বজয়ের মুকুট। তাই ২৭ বছর পর টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে একই ভুলের আর পুনরাবৃত্তি চায় না ইংল্যান্ড।

চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরে থাক, ইংল্যান্ড যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারে, চার বছর আগে একথা বললে সবাই হাসতেন! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে ঠিক একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান।

২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়ার পর আমূল বদলে গেছে মরগানের দল। রক্ষণাত্মক ক্রিকেট থেকে বেরিয়ে এসেছে ইংলিশরা। দলে রয়েছে এক ঝাঁক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার আর মরগান নিজে বিশ্বের সব বোলারের ত্রাসে পরিণত হয়েছেন। আর ঠাণ্ডা মাথার জো রুটের স্ট্রাইক রেটও একশর কাছাকাছি!

দলের পারফরম্যান্স যতোই ভালো হোক, ফাইনাল যে চাপের ম্যাচ সেটা ভালো করেই জানেন মরগান। তবে ইংলিশ অধিনায়ক বলছেন, ‘ছেলেদের বলেছি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাপ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে। খোলা মনে ফাইনালে খেল। এই দিনটা চাপে পড়ে গুটিয়ে থাকার দিন নয়। আমরা সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও দাপটে খেলতে চাই।’

গ্রুপ লিগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি ইংল্যান্ড। ফাইনালে অবশ্য অন্য লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কেন উইলিয়ামসনরা যেভাবে হাতে মাত্র ২৩৯ রান নিয়ে ভারতের মতো দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে, তাতে কিউই বোলারদের বাড়তি সমীহ করতেই হবে।

ইংল্যান্ড অধিনায়কও সেটা জানেন। জানেন বলেই তিনি বলেছেন, ‘রোববার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারানো সহজ হবে না। তারা দারুণ বল করছে এবং সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। যদিও আমরাও মুখিয়ে রয়েছি ভালো কিছু করার জন্য। ছেলেরা সবাই একশো শতাংশ দিতে তৈরি।’

ইংল্যান্ড দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ট্রেভর বেলিসও কিন্তু অসম্ভব সাবধানী। বিশ্বকাপের পরে তিনি ইংল্যান্ডের দায়িত্ব ছাড়বেন। বেলিস অবশ্য এখনই সেসব নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান না। আপাতত রোববারের ফাইনালই তার ধ্যানজ্ঞান।

তিনি বলেছেন, ‘এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে উঠে আমরা নিজেদের মধ্যে অনেকটা সময় নিয়ে কথা বলেছিলাম। যে আলোচনা থেকে আমাদের উপলব্ধি এখনো এই টুর্নামেন্টে কিছুই জিতিনি।’

কোচ আরও বলেন, ‘আমি ক্রিকেটারদের বলছি, এখন তোমাদের নিয়ে অনেক কথা হবে। সবাই তোমাদের ফেভারিট হিসেবে চিহ্নিত করে হইচই করবে। কিন্তু তোমাদের এখন একটাই কাজ। কোনোভাবেই আশপাশে যা কথা হচ্ছে, তাতে কান দিলে চলবে না। ফোকাস যেন কোনোভাবে সরে না যায়। এখনো অনেক কাজ বাকি। চার বছর ধরে দলটা ওয়ানডেতে সাফল্য পাচ্ছে। কিন্তু বিশ্বকাপটা জিততে না পারলে সে সব কেউ মনে রাখবে না।’