ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে ইসরায়েলে গণসংক্রমণ অনেক কমেছে।
এই তথ্যের ফলে করোনা ভ্যাকসিন যে ভাইরাসটির সংক্রমণ কমাবে তেমন বাস্তব ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে সেখানে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরিতে নিশ্চিত সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকারিতা দেখিয়েছে ৮৯.৪ শতাংশ।
এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনের টুইটে প্রকাশিত ড্রাফট কপি থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণে বেশ কিছু সংস্থা ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করেছে। তবে নিশ্চিত তথ্য দেয়ার জন্য আরও পর্যালোচনার দরকার আছে। কিছু বিজ্ঞানী এর যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
বিশ্বে সবথেকে বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে সেখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আলাদাভাবে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর হার কমাতে ৯৯ শতাংশ কার্যকর।
নিশ্চিত হওয়া গেলে ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট অনুসারে এই ভ্যাকসিন উপসর্গবিহীন বাহকদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোও প্রতিরোধ করে। কিন্তু তা এখনও পরিষ্কার নয়, কারণ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উপসর্গযুক্ত বাহকদেরই শুধু ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক বলেছে, তারা সত্যিকারের বিশ্বের বিশ্লেষণের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের তথ্য নিয়ে কাজ করছে। সেটা শেষ হলেই সবাইকে জানানো হবে।
কোনো অপ্রকাশিত তথ্য বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র।