জিম্বাবুয়েকে ফলো-অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের সকালে যখন ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা, তখন একটি প্রশ্নই উচ্চকিত হয়েছে মিরপুরে, ২১৮ রানে এগিয়ে থেকেও কেনো ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ জেতার সাহস দেখাল না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমকে ওই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
‘আমাদের দুই দিন সময় ছিল। ওরা দুইশ রানে পিছিয়ে ছিল। আমরা সবসময় চিন্তা করেছি শেষ ইনিংসে যেন ওরা ব্যাট করে। আমরা ব্যাটিং না করি। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই হতে পারে। দেখা যাবে ওরা ভালো ব্যাট করে আমাদের একশ-দেড়শ রানের টার্গেট দিয়ে দিল। আমরা কেনো ওই ঝুঁকি নিতে যাব।’
‘আমরা চেষ্টা করেছি তাদের শেষ ইনিংসে ব্যাট করাতে। তাহলে উইকেটটা ভেঙে যাবে, টার্ন করবে, অনেককিছু হতে পারবে, দ্রুত উইকেটের পতন ঘটবে। ওই ঝুঁকিটা ওরা নেক। আমরা যেন না নেই। ঝুঁকিহীন থেকে যেন খেলি। কারণ আমরা ব্যাকফুটে আছি, একটা টেস্ট হেরেছি। সবাই খুব গুরুত্ব সহকারে ম্যাচটা নিয়েছি। সবাই হৃদয় দিয়ে খেলছি।’ -বলেন মিরাজ।
মাহমুদউল্লাহ ও মিঠুনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১০১ ও মিরাজ ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মিঠুন করেন ৬৭ রান।
৪৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে পড়ন্ত বিকেলে জিম্বাবুয়ের দুটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশন ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৭৬ রান। জিততে হলে সফরকারীদের করতে হবে আরও ৩৬৭ রান, হাতে ৮ উইকেট।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০০২ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড।