১৬ রানে নেই ৪ উইকেট। সৌম্য-মজিদ-তাইবুরদের মিরপুরের ২২ গজে আসা-যাওয়ার মিছিল। শুরুর চার উইকেট শিকার করলেন ফরহাদ রেজা। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও শুভাগত হোমের প্রতিরোধে। সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ফাইনালে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে লড়াইয়ে রেখেছেন দুই ব্যাটার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটা পাঁচ দিনের। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দারুণ জমে উঠেছে ট্রফির লড়াই। বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮৭ রানের জবাবে মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় দিন শেষে তুলেছে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। মিঠুন ১০২ ও শুভাগত ৬৭ রানে অপরাজিত।
১২ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা। ডানহাতি পেসার একে একে আউট করেন আব্দুল মজিদ (০), সৌম্য সরকার (৩), সালমান হোসেন ইমন (১), তাইবুর রহমানকে (৪)।
জাকির হাসানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১০৭) প্রথম ইনিংসে চারশর কাছাকাছি সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণাঞ্চল। ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।
আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন জাকির। মিরপুরে ফাইনালেও স্পর্শ করলেন তিন অঙ্ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাকিরের ১১তম সেঞ্চুরি এটি। ১৬১ বলের ইনিংসে চার মারেন ১৫টি। ফরহাদ রেজা আউট হন ৭১ রান করে।
আগেরদিন ৫ উইকেটে ২৬১ রান তোলে দক্ষিণাঞ্চল। ফরহাদ ৪৬ ও জাকির ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটি বিচ্ছিন্ন হয় দলীয় সংগ্রহ তিনশ ছোঁয়ার পর। ফরহাদ-জাকির যোগ করেন ১৩৭ রান।
প্রথমদিন ৪ উইকেট নেয়া মুরাদ পঞ্চম শিকারের দেখা পান রিশাদ হোসেনকে ফিরিয়ে। ২৯ ওভার বল করে ১০১ রান খরচ করেন এ তরুণ। ১২ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট শিকার চতুর্থবার।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমদিনে দারুণ শুরুর পর দ্রুত পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। জাকির ও অধিনায়ক ফরহাদের জুটি কক্ষপথে ফেরায় দলটিকে।