চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফখরুল কাঁদলেন, কাঁদালেন অন্যদেরও

বিএনপি চেয়ারপারসনকে ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে, এমন পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মনোনয়ন চিঠি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরও কান্না করেন।

ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাকে ছাড়া এই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।

এসময় বিএনপি মহাসচি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় কিছু সময় ফখরুলকে কাঁদতে দেখা যায়। কথা বলা থামিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে। এসময় তার সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীরাও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

দলের মনোনয়ন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের সিনিয়র নেতৃত্ববৃন্দ ব্যতীত প্রায় প্রতিটি সংসদীয় আসনে আমরা মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছি। যাতে কোনো কারণে একজন প্রার্থীতা বাতিল হয়ে গেলে অন্যজন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ পান।

ফখরুল বলেন, আজ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, খুন, গুম করা হয়েছে। এমন একটা পরিবেশ পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার অবকাশ নেই। তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি শুধুমাত্র একটি কারণে, সেটি হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে খালেদ জিয়াকে মুক্ত করবো। জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় ঐক্যও গড়ে উঠেছে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পন্নভাবে পক্ষপাত দুষ্টু হয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। প্রশাসনে রদবদলের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা করেনি।

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ নয়, তার প্রমাণ হলো প্রধান নির্বাচন কমিশন কেএম নুরুল হুদা ভাগ্নে এস এম শাহজাদা সাজু পটুয়াখালী – ৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছে।