চরম নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হল ইতালি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবে না চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়ে গেল আজ্জুরিদের বিশ্বকাপে খেলার সব আশা।
বৃহস্পতিবার রাতে পালেরমোতে হওয়া প্লে-অফ সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে চলতে থাকে ইনজুরি সময়ের খেলা। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আলেকসান্ডার ট্রাজকোভস্কি গোলে ইতালির বিশ্বকাপে পা রাখার মিশন শেষ হয়ে যায়। একইসঙ্গে ১৯৬০ সালের পর ঘরের মাঠে তাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে।
মোট ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেও ইতালির জুটেছে একরাশ হতাশা। স্বাগতিকদের হতাশা বাড়াবে আরেকটি পরিসংখ্যান। ৩২টি শট তারা নিয়েছিল, পাঁচটি রাখতে পেরেছিল লক্ষ্যে। নর্থ মেসিডোনিয়া কেবল ৪টি শট নিতে পারে, লক্ষ্যে রেখেছিল দুইটি। তার ভেতর একটিতে লক্ষ্যভেদ করে তারা বিশ্বকাপে খেলা থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে।
নর্থ মেসিডোনিয়ার জয়ের নায়ক আলেকসান্ডার ট্রাজকোভস্কি এক সময় ইতালিয়ান ক্লাব পালেরমোর খেলোয়াড় ছিলেন। তার পা ধরেই কি না পালেরমোর মাঠে হয়ে গেল বিশ্বকাপ যাত্রা পথে ইতালির হয়ে গেল সলিল সমাধি! ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইতালি ষষ্ঠ স্থানে আছে। তাদের চেয়ে ৬০ ধাপ নিচের দল নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে হারটা তাদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হয়ে থাকতে পারে।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। নর্থ মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কি ভুল পাসে দোমেনিকো বেরার্দিকে বল দিয়ে বসেন। বেরার্দির দুর্বল শট অবশ্য গোলরক্ষকের ঠেকাতে অসুবিধা হয়নি। দুই মিনিট পর লরেঞ্জো ইনসিগনের দেয়া দূরপাল্লার শট প্রতিহত করেন নর্থ মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে ভেরাত্তির পাসে বল পেয়েছিলেন বেরার্দিকে। তিনি শট লক্ষ্যে রাখতে না পারায় ইতালি আবারো গোলবঞ্চিত হয়।
নির্ধারিত সময় শেষে ইনজুরি সময়ের খেলা ৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়। অতিরিক্ত সময়ের খেলা মাঠে গড়াবে এমনটা ধরে নিয়ে সবাই নিচ্ছিলেন মানসিক প্রস্তুতি। দ্বিতীয় মিনিটেই আসে স্বাগতিক দলের বিষাদের সেই মুহূর্ত। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোণাকুণি শটে গোল করেন আলেকসান্ডার ট্রাজকোভস্কি। সেখানেই ইতালির বিশ্বকাপ খেলার আশা শেষ হয়।