সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সেনা মোতায়েনের জন্য এখনো সময় আছে। তবে আমরা তাদের বলেছি প্রস্তুত থাকার জন্য। বুঝেশুনেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। যেকোনো সময় প্রয়োজন হলেই ডাক দেব। প্রয়োজনের সময় যেন তাদের পাই সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার রাজধানীর এনইসি ভবনে আইন শৃংখলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে নেওয়া হচ্ছে। জনগণ যেন নির্বিঘ্নে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে জন্য চেষ্টা চলছে।
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে আলোচনা হয়েছে। কমিশনে গিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে নির্বাচন শেষ করা হবে; বা নির্বাচনের সময় কিভাবে নিরাপত্তা দেয়া হবে। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।
নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা আপনাদের (মিডিয়া) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি কারা কারা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করছে। তারপর সেই অনুযায়ী সঠিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যদি কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ থাকে; তাহলে শুধু মুখে না বলে লিখিত দিন। দৃঢ়ভাবে বলুন, এতে সমাধান নিয়ে আসা সহজ হবে।
মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি সেসব সঠিকভাবে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। কয়েকজন মেয়র প্রার্থীকেও সতর্ক করেছি। তারা ক্ষমাও চেয়েছেন।
রকিব উদ্দিন জানান, কেবল প্রার্থীদের কাছে থেকে নয়, সাংবাদিকদের কাছ থেকেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে দাবি করে তিনি বলেন, সবাই বলছে সিটিতে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে। তারপরও আমরা সবাইকে বলেছি সতর্ক থাকতে। এটা নির্বাচনের আগের থমথমে পরিবেশ নয়। আমরা কোনো ঝুঁকি নেব ব না। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।
সিইসি জানান, আজকের বৈঠকের রিপোর্ট নিয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেনা মোতায়েন করা হবে কিনা।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কমিশনকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের খবর জানাবেন। কেবল প্রার্থীরাই না ভোটাররাও যেন ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। ভোট পরবর্তী সময়ে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেটাও প্রতিরোধ করা হবে। যত সেনা দেয়ার কথা বলা হচ্ছে; প্রয়োজনে তার চেয়েও বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের জানিয়েছে, তিন সিটি করপোরেশনে মোট দুই হাজার ১০০ টি কেন্দ্র রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের দিন ২৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার জন্য ৬৫ হাজার নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচনে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড সবই মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২ প্লাটুন, দক্ষিণ সিটিতে ১০ প্লাটুন এবং চট্ট্রগামে ১০ প্লাটুর বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারে তারাই যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।