রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজ শেষে তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় সমবেদনা জানাতে উপস্থিত হন।
প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে স্বাগত জানান মহিউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন এবং দুই ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান নওফেল ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ভাই বলে সম্বোধন করতেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছিল অসামান্য অবদান।
তিন মেয়াদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা মহিউদ্দিন চৌধুরী গত ১৫ ডিসেম্বর মারা যান। ৭৩ বছরের জীবনে এই রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে ছিলেন সামনের কাতারে।
প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হওয়া দশজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।