বৃষ্টির আশংকার মধ্যে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। অধিনায়ক মুশফিক ও কোচ হাতুরুসিংহ বলছেন, স্টেইন-মরকেল’দের নিয়ে গড়া প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণ সামলানোই টিম-টাইগার্সের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
দু’দলের আগের আট টেস্টের সব’কটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, এরমধ্যে সাতটিতে ইনিংস হার। ২০০৮-এ চট্টগ্রামে নেইল ম্যাকঞ্জি, গ্রায়েম স্মিথের দুই ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার ইনিংস ও আড়াইশো রানের। বাংলাদেশ টিমের কোচ হাথুরুসিংহের আশা, প্রোটিয়াদের বিশ্বসেরা পেস আক্রমণকে সামলে নিতে পারলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়া যাবে। কোচ বলেন, টেস্ট অনেক বড় মোমেন্ট। এই মোমেন্টের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তবে সব অবস্থায় কামব্যাক করার ক্ষমতা টাইগাররা রাখে। তাই আমাদের জন্য এই মোমেন্ট এখন আর কোনো বিষয় না।আমাদের মানসিকতা থাকবে দারুণ ছন্দে খেলা। নিজেদের ওপর আস্থা রেখে আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই।
ওয়ানডে’তে যাইহোক, টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের সঙ্গে ‘টিম-টাইগার্সের’ অতীত রেকর্ড বেশ খারাপ। তারপরও আশা ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান, ভারত, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা রসদ যোগাবে। তাই কোচের মতো টেস্ট ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিমও ।
এই ম্যাচেও কিপিং করছেন না মুশফিক, তবে আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা, কন্ডিশন আর উইকেট দেখেই প্রথম একাদশ সাজানো হবে। আট ব্যাটসম্যানের ফর্মূলার পাশপাশি টেস্ট অভিষেক হতে পারে কাটার মুস্তাফিজের।
অধিনায়ক মুশফিক বলেন, গত আট মাস বাংলাদেশ যেভাবে ক্রিকেট খেলছে, আশা করি এই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভালো করার সম্ভাবনা খুব বেশি।
অন্যদিকে স্টেইনের উপস্থিতি আর টেস্ট ফরম্যাট বলেই আস্থা নিয়ে শুরু করতে পারছেন সাউথ আফ্রিকান অধিনায়ক হাশিম আমলা। বাংলাদেশ দলের যেমন মুস্তাফিজ, তেমনি সাউথ আফ্রিকার বেশ ক’জন তরুণের টেস্ট অভিষেকের স্বাক্ষী হতে পারে এই ম্যাচ।
এদিকে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রাত থেকেই চট্টগ্রামের আকাশে বৃষ্টি ঝরছে দিনের কোনো না কোনো সময়ে। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী সাতদিন থাকবে একই ধারা। তবে টেস্ট শুরু’র আগেরদিন উজ্জ্বল আবহাওয়া আশাবাদি করছে দুই দলকেই।