বয়সটা ৩৭ হলেও ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি কেভিন পিটারসেন। বহুদিন ধরে রয়েছেন ক্রিকেটের বাইরে। জাতীয় দল ইংল্যান্ডের হয়ে যে আবারো খেলতে পারবেন সেটাও একরকম অসম্ভব। তবুও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চান পিটারসেন। সেই স্বপ্নটা দেখছেন মাতৃভূমি সাউথ আফ্রিকার জার্সিকে ঘিরে। নিজেই খবরটা দিয়েছেন ইংলিশ তারকা।
১৯৮০ সালে সাউথ আফ্রিকাতেই জন্ম পিটারসেনের। পরে ইংল্যান্ডে চলে আসায় সেখানেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সফল একটা সময়ই কাটিয়েছেন। কিন্তু ২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের পর তাকে দল থেকে বাদ দেয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরেই আছেন তিনি।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পিটারসেন। বলেছেন, আমরা আরো দুই বছর পরের কথা ভাবছি। কে জানে, আমি খেলতে পারব কি না। আমি আগামী দুই বছর সাউথ আফ্রিকায় অনেক ক্রিকেট খেলব। ফলে দেখা যাক, বিশ্বকাপে খেলতে পারি কি না।
ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ফিরতে না পারলেও পিটারসেন ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। ন্যাটওয়েস্ট টি-টুয়েন্টি ব্লাস্ট দিয়ে শুরুটাও করেছেন দারুণভাবে। সারের জার্সিতে ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন।
সাউথ আফ্রিকায় পাকাপাকিভাবে ফিরতে কাজও শুরু করে দিয়েছেন পিটারসেন। তার পরিবারকে সাউথ আফ্রিকায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের পাশে বেসরকারি আবাসিক এলাকায় একটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ করছেন।
অনেক কাছে গিয়ে বারবার বিশ্বকাপটা অধরা থেকেছে সাউথ আফ্রিকার। ২০১৯ বিশ্বকাপে এবি ডি’ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু প্লেসিস, কুইন্টন ডি কক ও ডেভিড মিলারের সঙ্গে পিটারসেনের অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে সে আক্ষেপ হয়তো ঘুচতেও পারে প্রোটিয়াদের। তার আগে মিলতে হবে সুযোগটা।