আইসিসির আসরগুলো বরাবরই হয়ে থাকে ফ্ল্যাট উইকেটে। জুনে ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলোতে যে রানের বন্যা বইবে সেটি অনুমান করতে পারছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতায় তিনি মনে করেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ফ্ল্যাট উইকেটে হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ দল।
১ জুন কেনিংস্টন ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের অন্যান্য ভেন্যুর মধ্যে ওভালের উইকেট সবচেয়ে ফ্ল্যাট। এই মাঠে অনুষ্ঠিত সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেয়া ৩০৬ রানের লক্ষ্য ৪০.১ ওভারে টপকে জয় পায় ইংলিশরা এবং সেটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। আইসিসির ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উইকেট যে আরও ফ্ল্যাট হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত খালেদ মাহমুদ।
এবারের প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে ফ্ল্যাট উইকেটে। বড় স্কোর হয়েছে প্রথম দুই রাউন্ডের বেশ কয়েকটি ম্যাচেই। এজন্য প্রিমিয়ার লিগই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দারুণ প্রস্তুতি বলে জানালেন খালেদ মাহমুদ, ‘ওভালের কন্ডিশন সম্পর্কে আমি জানি। সেখানকার উইকেট খুবই ফ্ল্যাট হবে। আমার মনে হয় প্রিমিয়ার লিগে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হচ্ছে, এটা ভালো। এতে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। বোলাররাও শিখতে পারছে। তাদের জানতে হবে কিভাবে ফ্ল্যাট উইকেটে বোলিং করতে হয়, ইয়র্কার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, স্লগ ওভারে কেমন বোলিং হওয়া উচিত।’
প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডে ১০ দিনের ক্যাম্প ও আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আরও ভালোভাবে নিজেদের তৈরি করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। সেইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও পাবে বাংলাদেশ।
এসব দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে দারুণ খুশি খালেদ মাহমুদ, ‘প্রিমিয়ার লিগে খুব প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হয়। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আমার মনে হয় এতে দারুণ প্রস্তুতি হয়ে যাবে। ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি দারুণ কাজে দেবে। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এছাড়া তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক প্রিমিয়ার লিগে রান পাচ্ছে, তারা এমনিতেই আত্মবিশ্বাসী আছে।’