স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।
১০ই জানুয়ারি, ১৯৭২। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন-দিল্লি ঘুরে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স পর্যন্ত লাখো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু যখন ফিরলেন তখন বাংলাদেশের সম্পদ বলতে অবশিষ্ট কেবল তার জন্য বাঙালির ভালবাসা। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশ ছেড়ে যাবার আগে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাসহ এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কাঠামো এমনভাবে ধ্বংস করে গিয়েছিলো যাতে বাঙালি আর মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারে। এমনই অবস্থায় ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু। পরে ১২ জানুয়ারি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ৪৬৯ জন সদস্যের মধ্যে ৪০৩ জনকে নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। ৭২ সালের ৪ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম বৈঠক বসে। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ভারতের কাছ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা পাওয়া যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রও বাংলাদেশের জন্য সহায়তার হাত প্রশস্ত করে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তাঘাট মেরামত শুরু হয়, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়, স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
বিস্তারিত দেখুন কাজী ইমদাদের ভিডিও রিপোর্টে