৫৫০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৩ রান। জয়ের জন্য টাই্গারদের প্রয়োজন ৪৮৭ রান। ক্রিকেট পরিসংখ্যান মতে, তা প্রায় ‘অসম্ভব’। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
তামিম ইকবাল ৩২ ও মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত আছেন।
টাইগারদের একমাত্র উইকেটটি নেন ইয়াসির শাহ। ইয়াসিরের ঘূর্ণি বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওপেনার ইমরুল কায়েস। ফেরার আগে তিন চার থেকে তার সংগ্রহ ছিল ১৬ রান।
এর আগে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৫৫৭ রানের জবাবে স্বাগতিক বাংলাদেশ অলআউট হয় ২০৩ রানে। পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান।
পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, ইনিংসে স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই চতুর্থ বলে মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট হারায় সফরকারী পাকিস্তান। স্বাগতিকদের পক্ষে সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ শরীফ। উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনা টেস্টের এ ডাবল-সেঞ্চুরিয়ান।
প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিতে ক্রিজে আসেন আজাহার আলি। তবে সামি আসলাম ও আজাহারের জুটি থিতু হবার আগেই বিদায় নেন সামি আসলাম। ২৫ রান যুক্ত হতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। মোহাম্মদ শহীদের বলে মাহামুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
সামি আসলামের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ইউনিস খান। ইউনিস-আজাহার জুটি থেকে আসে ২৪ রান। এবার ফেরেন আগের ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আজাহার আলি। স্কোর বোর্ডে তখন রান ৪৯ রান। ব্যাক্তিগত ২৫ রানে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন তিনি।
আজাহারের বিদায়ে ইউনিস খানের সাথে জুটি বাধেন পাক দলপতি মিজবাহ-উল-হক। তারা দুজন স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৫৮ রান। এবার সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন আপে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। নিজের করা বলেই ক্যাচ ধরে ইউনিসকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
তৃতীয় দিনে টাইগারদের শেষ শিকার আসাদ শফিক। ইউনিসের বিদায়ে মিজবাহ উল হককে সঙ্গ দিতে আসেন শফিক। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হন মিজবাহ-উল-হক। মাহামুদুল্লার বলে আউট হয়ে ফেরার আগে ৭২ বল থেকে তিনি করেন ৮২ রান।