চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন কাদের সিদ্দিকী

হাইকোর্টের রায়ে টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ এ রায় দেন।হাইকোর্টের আদেশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, হাইকোর্টের কাছ থেকে আমি সুষ্ঠ বিচার পেয়েছি। এখন জনগণের কাছে যেতে চাই। বাংলাদেমের যুদ্ধাপরাধীরকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হলেও বিদ্বেষের কারণে আমাকে সেই সুযোগ না দেয়ার চেষ্টা করেছে।

এর আগে নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও রুবায়েত হোসেন।

কাদের সিদ্দিকী ঋণ খেলাপি হওয়ায় নির্বাচনে অযোগ্য এমন যুক্তি হাইকোর্ট গ্রহণ না করায়, আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা জানান এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আমরা আপিল বিভাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমি মনে করি কোনো ব্যাক্তিকে যদি ঋণ পরিশোধের সময় দেয়া হয় এবং তার কয়েক কোটি টাকার সুদ মাফ করে দেয়া হয় তার সঙ্গে সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ডিক্লাসিফাই করা এক নয়।

কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের চারজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।

এরপর গত ১৬ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। ১৮ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে দেন।

পরে হাইকোর্টে আপিল করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন পত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। আগামী ১০ নভেম্বর উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।