চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রাক্তন স্ত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ

মহিউদ্দিন মুরাদ: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বামীর বিরুদ্ধে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে অপহরণ করে দুই সহযোগীকে নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলা তোরাবগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়।

গণধর্ষণের শিকার ওই নারী কমলনগর উপজেলার চরকালকিনী গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। ছয় ও আট বছর বয়সী দু’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে তার। অভিযুক্ত স্বামী আবু কালাম পাশ্ববর্তী তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে।

ওই নারীর মা বলেন: ১০ বছর আগে আবু কালামের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর থেকে সে একাধিকবার নানা অজুহাতে যৌতুক নেয়। গত বছর ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। উপায় না পেয়ে আদালতের মাধ্যমে গত পাঁচ মাস আগে স্বামীকে তালাক দেয়। এর জের ধরে ওই স্বামী তার আরও তিন বন্ধুকে নিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে এবং কাঁচি দিয়ে মাথার চুল এলামেলো করে কেটে দেয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করা হয়। এরপর চলে থেমে থেমে নির্যাতন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার নারী জানান: শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামের তার ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হই। সন্ধ্যায় তোরাবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে প্রাক্তন স্বামীসহ তিনবন্ধু মিলে আমাকে অপহরণ করে আবু কালামের বাড়ির একটি ঘরে বন্দি করে রাখে। এসময় মারধর ও চুল কেটে নির্যাতন করা হয়। পরে তারা রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই। ভোরে তারা আমাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত স্বামী আবু কালামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন: নির্যাতিত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার আলামত রয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি ডাক্তারি পরীক্ষার পরে নিশ্চিত বলা যাবে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন: ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।