“পৃথিবীতে জীবনকে টিকিয়ে রাখার যে প্রাকৃতিক ব্যবস্থা তার দ্রুত অবনতির ফলে মানবসমাজ ঝুঁকিতে রয়েছে”
এই পর্যন্ত সম্পাদিত পৃথিবীর সার্বিক প্রাকৃতিক ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সবচাইতে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী নিরীক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে, সমুদ্রের তলদেশে প্রবালপ্রাচীরের ক্ষয় থেকে শুরু করে চিরহরিৎ বনাঞ্চল শুকিয়ে সাভানায় পরিণত হওয়া পর্যন্ত, গত ১০ মিলিয়ন বছরের চাইতে গড়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ অধিক হারে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে।
বন্য স্তন্যপায়ীদের সমগ্র পরিমাণ ৮২ ভাগ কমে এসেছে, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র প্রায় হারিয়েছে তাদের অর্ধেক অঞ্চল এবং ১ মিলিয়ন প্রজাতি রয়েছে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে – এইসবই সামগ্রিকভাবে মানব কর্মকাণ্ডের ফলে, বলছে গবেষণাকর্ম, যা কিনা ৪৫০ এরও অধিক বিজ্ঞানী এবং কূটনীতিকদের দ্বারা তিন বছরেরও অধিক সময়ে সংকলিত হয়েছে।
#অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে শ্বেত বর্ণ ধারণ করা প্রবালপ্রাচীর। ছবিঃ নেটে উইলিস/ এএফপি/গেটি।
প্রতি পাঁচটির মধ্যে দুই প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে, যেমনিভাবে রয়েছে এক-তৃতীয়াংশ প্রাচীর গঠনকারী প্রবাল, এবং এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি অন্য সামুদ্রিক প্রজাতি। পতঙ্গদের ক্ষেত্রে এই চিত্র- যারা কিনা উদ্ভিদের পরাগায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- কিছুটা কম স্পষ্ট, তবে সংরক্ষণমূলক হিসাব ধারণা দেয় অন্তত প্রতি দশে একটি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে এবং, কিছু অঞ্চলে, এদের সংখ্যা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। অর্থনীতির ভাষায়, এই ক্ষতির পরিমাণ অবাক করার মত। পরাগায়নকারীদের হ্রাস ৫৭৭ বিলিয়ন ডলার (৪৪০ বিলিয়ন পাউন্ড) পর্যন্ত মূল্যের শস্য উৎপাদনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে, যেখানে কিনা ভূমি ক্ষয় বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষমতাকে কমিয়ে এনেছে শতকরা ২৩ ভাগ।
মানবজাতির পরোক্ষ প্রভাব , স্বাদুপানির ঘাটতি এবং অস্থিতিশীল জলবায়ুসহ , ইতিমধ্যে হয়েছে ‘অমঙ্গলসূচক’ এবং কঠোর প্রতিকারমূলক কর্মকান্ডে তা হবে আরও খারাপ, বলেছেন গবেষণা সম্পাদনকারীরা।
“বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য যার উপর কিনা আমরা এবং অন্য প্রজাতিরা নির্ভর করে তা পূর্বের যেকোন সময়ের চাইতে দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা পৃথিবীব্যাপী ক্ষয়প্রাপ্ত করছি আমাদের অর্থনীতি, জীবনব্যবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং জীবনের মানকে ,“ বলেছেন রবার্ট ওয়াটসন, ইন্টারন্যাশনাল সাইন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস (আইবিপিইএস) এর সভাপতি। “ আমরা সময়ে হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের এখনই কাজ করা উচিত।”
জাতিসংঘ রিপোর্টের সতর্কবার্তা ছিল অস্বাভাবিক কঠোর যাতে ঐক্যমত প্রকাশ করতে হয়েছিল সব রাষ্ট্রকে। শত শত বিজ্ঞানীরা পরিবর্তনের সম্মুখপ্রান্তে বসবাসকারী দেশীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সংকলিত করেছেন ১৫,০০০ একাডেমিক গবেষণা এবং রিপোর্ট । এগুলো গঠন করা হয়েছে মিলেনিয়াম ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট ২০০৫ এর উপর ভিত্তি করে, তবে তারা এর চাইতেও অনেক দূর এগিয়েছেন কেবল মাত্র প্রজাতির তালিকায় দৃষ্টিপাতে সীমাবদ্ধ না থেকে, বরং জীববৈচিত্র, জলবায়ু এবং মানব সমাজের মঙ্গলের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার যে জাল রয়েছে তার দিকেও লক্ষ্য রেখে।
গত সপ্তাহের মধ্যে, বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতিনিধিরা নীতিনির্ধারকদের সারসংক্ষেপকে পূর্ণাংগ রূপ দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিকারমূলক পরিস্থিতি, যেমন ‘রূপান্তরমূলক পরিবর্তন’ সরকারের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে, সংশোধিত বাণিজ্য নীতিসমূহ, বন এবং অন্যান্য সবুজ অবকাঠামোতে বৃহৎ বিনিয়োগ এবং স্বতন্ত্র আচরণে পরিবর্তন যেমন মাংস এবং পণ্যদ্রব্যের গ্রাস হ্রাস।
বিদ্যালয় ধর্মঘট, বিলুপ্তি বিদ্রোহ আন্দোলন এর পরবর্তিতে, যুক্তরাজ্যের আইনসভার জলবায়ু জরুরী অবস্থা ঘোষণা এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনে গ্রিণ নিউ ডিল ডিবেটস এর পরে , গবেষকরা আশা করছেন ১৮০০ পৃষ্ঠার জীববৈচিত্র নিরীক্ষণ প্রাকৃতিক সংকটকে একইভাবে গ্লোবাল স্পটলাইটে নিয়ে আসবে যেভাবে গত বছর জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তঃসরকার প্যানেল ১.৫সি রিপোর্ট জলবায়ুর অবনতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক কার্যাবলীকে আলোড়িত করেছে।
#সমন্বিত ফসল কাটার যন্ত্র সয়াবিন বপন করছে ব্রাজিলের মাতো গ্রসোতে। ছবিঃ এএফপি/গেটি ইমেজেস।
ডেভিড ওবুরা, এই রিপোর্টের মূল লেখকদের মধ্যে একজন এবং বিশ্বব্যাপী প্রবাল সংক্রান্ত একজন কর্তৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি, বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করেছি আমরা কতটা বিপদে রয়েছি তা নথিভুক্ত করার মানুষের চিন্তাকে এব্যাপারে কেন্দ্রীভূত করতে , কিন্তু এও বলতে যে এখনো খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি যদি আমরা প্রচুর পরিমাণে রূপান্তরমূলক আচরণগত পরিবর্তন আনতে পারি। এটা মানবতার জন্য অপরিহার্য। আমরা কেবল সেখানকার সুন্দর প্রজাতিগুলোর কথা বলছি না, এটা আমাদের জীবনকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা।
এই রিপোর্টটি দেখায়, একটা গ্রহকে যেখানে মানুষের চাহিদার ক্ষেত্র এতটাই বড় যা অন্যকিছুর জন্য খুব অল্প জায়গা ছেড়ে রাখে। তিন-চতুর্থাংশ ভূমি পরিণত হয়েছে খামারবাড়িতে, কংক্রিটে আচ্ছাদিত হয়ে, জলাশয়ের বাধ গ্রাসকৃত হয়ে অথবা অন্যভাবে ব্যাপক পরিবর্তিত হয়ে। দুই-তৃতীয়াংশ সামুদ্রিক পরিবেশও পরিবর্তিত হয়ে গেছে মাছের খামার, জাহাজ গমনপথ, উপসমুদ্রের খনি এবং অন্যান্য প্রকল্পে। তিন-চতুর্থাংশ নদী এবং হ্রদ ব্যবহৃত হচ্ছে শস্য অথবা পশুপালনে। এর ফলে, ৫০০,০০০ এরও বেশি প্রজাতির দীর্ঘ দিন টিকে থাকার জন্য রয়েছে অপর্যাপ্ত আবাসস্থল। অনেক প্রজাতি কয়েক দশকের মাথায় হারিয়ে যাওয়ার পথে।
এডুরাডো ব্রন্ডীজিও, আইবিপিইএস ইন্ডিয়ানা স্টেটের এর একজন সহ-সভাপতি, বলেছেন, “ আমরা পৃথিবীর চারদিকে আমাদের প্রভাব ফেলছি সীমান্ত থেকে সীমান্ত জুড়ে। কিন্তু আমরা সীমার ভান্ডার ফুরিয়ে ফেলছি…যদি আমরা বাণিজ্যকে স্বাভাবিক গতিতে সামনে এগিয়ে যেতে দেখি, তাহলে আমরা দেখতে পাবো আমাদের প্রয়োজন মেটাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ভারসাম্য ধরে রাখতে প্রক্রিতির ক্ষমতার খুব দ্রুত অবনতি ঘটছে।“
কৃষি এবং মাছ শিকার এই ক্ষতির মূল কারণ। ১৯৭০ সালের পর থেকে খাদ্য উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কিনা বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে এবং তৈরি করেছে কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নতি। কিন্তু এটা এসেছে খুব চড়া মূল্যে। মাংস শিল্পের এক্ষেত্রে রয়েছে ভারী প্রভাব। পৃথিবীর বরফহীন জমির শতকরা ২৫ ভাগ গবাদি পশুর চারণক্ষেত্র এবং বিশ্বের শতকরা ১৮ ভাগেরও বেশি জমি রয়েছে গ্রিণহাউজ গ্যাস নিঃসরণের জন্য। শস্য উৎপাদন ব্যবহার করছে শতকরা ১২ ভাগ জমি এবং তৈরি করছে শতকরা ৭ ভাগের কম নিঃসরণ।]
এই গবেষণাটি চিত্রায়িত করছে একইরকম শ্বাসরোধী মানবসৃষ্টতা যা ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবী জুড়ে, যেহেতু একটা ছোট পরিসরের অর্থকরী ফসল এবং উচ্চ মূল্যের গবাদি পশু বন এবং অন্যন্য প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে স্থানান্তরিত করছে। একইসাথে ক্ষয়গ্রস্থ করছে মাটিকে , যা কিনা উর্বরতা হ্রাস করছে , এক-ফসলী চাষ রোগ, ক্ষরা এবং জলবায়ু বিনষ্টের অন্যান্য প্রভাবে প্রভাবিত হওয়ার দিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
আবাসস্থলের দিক থেকে, সবচেয়ে গভীর ক্ষতি হচ্ছে জলাভূমির হ্রাস, যা ১৭০০ সাল থেকে শতকরা ৮৩ ভাগ শুকিয়ে গেছে, পানির মান এবং পাখিকূলের জীবনে পরোক্ষ প্রভাব রেখে। বন হারিয়ে যাচ্ছে, বিশেষত ক্রান্তীয় অঞ্চলে। এই শতাব্দীর প্রথম ১৩ বছরে, পূর্ণাংগ বনাঞ্চল শতকরা ৭ ভাগ কমেছে, যা কিনা একত্রে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের চাইতে বড় অঞ্চল। যদিও বন উজাড়ের সার্বিক হার কমে এসেছে, এটা আংশিকভাবে একটা হিসাবের চাতুর্য, যেহেতু এক-ফসলী চাষ জীববৈচিত্রপূর্ণ বন এবং জঙ্গলকে স্থানচ্যুত করছে।
সমুদ্রগুলো আর আশ্রয়স্থল নেই। কেবল শতকরা ৩ ভাগ সামুদ্রিক অঞ্চল মানবসৃষ্ট চাপমুক্ত রয়েছে। পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি সমুদ্রে শিল্প পর্যায়ের মাছ শিকার চলছে, এক-তৃতীয়াংশ মাছকে অতিশোষণের চাপে ফেলে।
#স্ক্যালপড হ্যামারড সার্ক, ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগনেটিক আইল্যান্ডের ড্রাম লাইনে মৃত । ছবিঃ এইসএসআই/ ইপিএ
প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুমান করে যে, এক চতুর্থাংশ স্তন্যপায়ী এবং উদ্বৃত্ত দুই-পঞ্চমাংশেরও বেশি লোক বিলুপ্তির জন্য ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই গবেষণায় সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এক বিভ্রান্তিকর মানবসৃষ্টির সমতার চিত্রিত হয়েছে। আর্থিকভাবে লাভজনক ফসলের একটি ক্ষুদ্র পরিসর এবং উচ্চমানের গৃহপালিত পশু, বন ও অন্যান্য প্রকৃতির সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্রের প্রতিস্থাপন করছে। পাশাপাশি এই ভুমি ক্ষয়ের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস হয়, ফসলীচাষ সহজেই রোগ, খরা এবং জলবায়ুর জন্য অন্যান্য প্রভাব দ্বারা আক্রান্ত হয়।
জলবায়ুর পরিবর্তন,দূষণ এবং আক্রমণকারী প্রজাতিগুলির তুলনামূলকভাবে কম প্রভাব ছিলো। কিন্তু এই কারণগুলি ত্বরান্বিত হচ্ছে ধীরে ধীরে। নির্গমন অবিরতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রথমবারের মত ৪১৫ পারটস পার মিলিয়ন সীমা অতিক্রম করেছে। যদিও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ১.৫ সি থেকে ২সি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা হতে পারে। তবে গবেষণাটি সতর্ক করে যে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রজাতির বিস্তার গভীরভাবে কমে যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বৈষম্য এর সাথে একটি ফ্যাক্টর হিসাবে উল্লেখ করা হয়। উন্নত বিশ্বের মানুষ দরিদ্র দেশগুলির থেকে চার গুণেরও বেশি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ রয়েছে এবং এই পার্থক্যটি বাড়ছে।
আমাদের প্রজাতি এখন প্রতিবছর ৬০ বিলিয়ন টন সম্পদ আহরণ করে,যা ১৯৮০ সালের পরিমাণ এর প্রায় দ্বিগুণ।। যদিও বিশ্ব জনসংখ্যা মাত্র ৬৬% বৃদ্ধি পেয়েছে সে সময়ে। ৮০ মিটারেরও বেশি বর্জ্য জলপ্রবাহ, লেক এবং মহাসাগরগুলিতে ৩০০ মিটার-৪০০ মিটার ভারী ধাতু, বিষাক্ত স্লারি এবং অন্যান্য শিল্প বর্জ্য কোনো নিষ্কাশন ছাড়াই প্রবাহ করা হয়। ১৯৮০ সাল থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, এটি ৮৬% সামুদ্রিক কচ্ছপ, ৪৪% সাববার্ড এবং ৪৩% সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীকে প্রভাবিত করে। সারফেস রান-অফ ৪০০ টি “মৃত অঞ্চল” তৈরি করেছে, যা যুক্তরাজ্যের আকারকে প্রভাবিত করে।
লন্ডনে প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের একজন অধ্যাপক ওডি পারভিস (Purvis) এবং প্রতিবেদনের প্রধান লেখক বলেন, জাতি তিতা ঔষধের প্রয়োজনের উপর সম্মত হয়েছে। এটি সবচেয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ, সবচেয়ে বিস্তারিত এবং সর্বাধিক বিস্তৃত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। গ্রহণযোগ্য বার্তাটি হলো, আমাদের ডাক্তারের কাছে খুব শীঘ্রই যাওয়া উচিত ছিল। আমরা একটি সংকটে আছি। আমরা যে সমাজে আমাদের সন্তানদের এবং নাতি-নাতনীদের বসবাস করতে দেখতে চাই, সেখানেই প্রকৃত বিপত্তি। আমি এটা বাড়িয়ে বলছি না।
তিনি বলেন , আমরা যদি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সমস্যা রেখে দিই , আমি মনে করি না তারা আমাদের ক্ষমা করবে।
পরবর্তী ১৮ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। প্রথমবারের মতো, জীববৈচিত্র্য হ্রাসের বিষয়টি জি ৮ বিষয়সূচিতে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পার্থ দাশগুপ্তকে প্রকৃতির অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অধ্যয়ন লেখার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। যা জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থনীতির কট্টর পর্যালোচনার মতো একই কাজটি করার আশা করে। আগামী বছর, চীন জীববৈচিত্র্যের জন্য নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে একটি ল্যান্ডমার্ক জাতিসংঘ সম্মেলন আয়োজন করবে।
জাতিসংঘের প্রধান জীববৈচিত্র্য সংস্থার প্রধান ক্রিস্টিয়ানা পাশা পালমার বলেন, তিনি একইসাথে উদ্বিগ্ন এবং আশাবাদী। আজকের রিপোর্ট বেশ উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরে। বিপদ হল আমরা গ্রহটিকে এমন অবস্থানে রাখি যেখান থেকে পুনরুদ্ধার করা কঠিন। কিন্তু অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত, আমাদের রাজনৈতিক কাজ করতে হবে না। কিন্তু পাবলিক প্রত্যাশা অনেক উচ্চ। মানুষ চিন্তিত এবং ফলাফল চায়। ”
রিপোর্টটি সংরক্ষিত সংরক্ষণের মতো বর্তমান সংরক্ষণ কৌশলগুলিকে স্বীকার করে, এটি ভাল উদ্দেশ্যে কিন্তু অপর্যাপ্ত। ভবিষ্যতের পূর্বাভাসগুলি সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি জুড়ে মৌলিক পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করে এমন সব পরিস্থিতিতেই নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
এটি বলছে যে মূল্যবোধ ও লক্ষ্যগুলি সরকার জুড়ে পরিবর্তন করতে হবে যাতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকরা পৃথিবীর অবনতির অন্তর্নিহিত কারণগুলিকে মোকাবেলা করতে পারে। এর মধ্যে আছে উদ্দীপনায় একটি পরিবর্তন, সবুজ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রকৃতির অবনতির হিসাব, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এবং ভোজনের অসম মাত্রা, সেক্টর জুড়ে বৃহত্তর সহযোগিতা, নতুন পরিবেশ আইন এবং শক্তিশালী প্রয়োগ।
জার্মানির হেলমহোল্টস সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ-এ ইপ্সেসের সহ-সভাপতি ও এন্টোলোজিস্ট জোসেফ স্যাটেল্লে বলেন, পরিস্থিতিটা কঠিন এবং জটিল। কিন্তু আমি কখনোই আশা ছাড়ব না। “মানুষের আতঙ্কিত না হওয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে তাদের কঠোর পরিবর্তন শুরু করা উচিত”।
#গার্ডিয়ান