প্রস্তাবিত বাজেটের ফলে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে যাত্রা আরো বেগবান হবে বলে আশা অর্থ মন্ত্রণালয়ের। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সচিব মাহাবুব আহমেদ মনে করছেন রপ্তানি ও প্রবাসী আয়কে চাঙ্গা করা, একই সাথে শেয়ার বাজারে প্রণোদনা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাজেটে ঘোষিত সুবিধা পুরো অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করবে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ,উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা, এই শিরোনামে বাজেট বক্তৃতায় দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার একটা চেষ্টা করেছেন তিনি। নতুন বিনিয়োগ আসার গতি বাড়বে সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে কম দামে জ্বালানী তেল, কৃষিতে ধারাবাহিক ভালো উৎপাদন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে চাঙ্গাভাব আশার খোরাক জুগিয়েছে। এমন অনুমানের ওপর ভর করে অর্থ বিভাগ ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণের সাহস জুগিয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ভেঙ্গে ২০১৮ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যকে বিদায়, মধ্য আয়ের কাতারে ওঠা, ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধিকে ৮ শতাংশে নেয়ার কথাও বলেন অর্থমন্ত্রী।
আসলে কি সম্ভব?এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহাবুব আহমেদ বলেন, আমরা কিছু কিছু জায়গায় বিনিয়োগ সুযোগের চিন্তা ভাবনা করছি। এবং ওই বিনিয়োগের লাভ দেশে নিয়ে আসা সম্ভব কিনা তাও দেখছি। বর্হিবিশ্ব থেকে যে আয়টা আসবে সেটার একটা অংশ জিডিবি’র প্রবৃদ্ধিতে সংযুক্ত হবে। আর একটা অংশ সরাসরি জিএনআই অথ্যাৎ ক্রস ন্যাশনাল ইনকাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। মানুষের মাথাপিছুর আয় বাড়লে সেই আয় মানুষরা বাজারে খরচ করতে পারবে এবং তাদের অভ্যন্তরীন চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
অর্থসচিব মনে করছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন এবং বড় বিনিয়োগকারী দেশের জন্য আলাদা আলাদা শিল্পাঞ্চল করার ফলে কর্মসংস্থান এবং আয়ে বড় প্রভাব পড়বে সরকারের এই মেয়াদেই। অনেকে বলছেন দেশে কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। সে কথাটা কিন্তু পুরোপুরি সঠিক না। এবছর বেসরকারি বিনিয়োগ ২২ শতাংশ ছিলো। গত বছরের চেয়ে জিডিপি থেকে এ বছর জিডিপি বেড়েছে।
বাজেট তৈরীর কাজটি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল হলেও শেষ পর্যন্ত অংকের হিসাব মেলান অর্থসচিব।
কাজেই নিছক অনুমানের ভিত্তিতে জাতিকে ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যয় পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে এমন না ভাবার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার মতে আরো বেশি আয় করে বড় ব্যয় করার সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।