২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে জনগণের সাথে ‘ভাঁওতাভাজি’ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ইহা একটি অবাস্তবায়নযোগ্য, কাল্পনিক ও কাগুজে বাজেট ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা এবং চলমান করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি বলে দাবি করেছে বিএনপি।
আজ শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাজেটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপি। এতে দলের হয়ে প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিপাদ্য শব্দমালার মধ্যেই এবারের বাজেটের ভাঁওতাবাজি পরিষ্কার।
তিনি বলেন, ঘোষিত ঢাউস সাইজের সংখ্যাতাত্ত্বিক এই বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অনুপস্থিত। তাই বিএনপি মনে করে চলমান করোনা মহামারিকালে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে এবং বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে চলমান স্বাস্থ্য পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন গত ১৮ মাস ধরে অচল। এর মধ্যে অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শাটডাউনে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন চূড়ান্তভাবে থমকে গেছে। তাই সুস্পষ্টভাবে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় না রেখে কেবল অর্থনীতির নানা তত্ত্ব ও বিশাল সংখ্যার আর্থিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কার্যত জনগণের সঙ্গে এক ধরনের ভাঁওতাবাজি করা হয়েছে।’
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর আরোপের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাকালে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছে না। ১০ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ আছে। অনেকে বেকার হয়ে গেছেন। কেজি স্কুল, কারিগরিসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাজেটে এসব খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রস্তাব দেখা যায়নি। বরং প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করেছে। সরকার মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বললেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানের ওপর ট্যাক্স আরোপ করে মূলত শিক্ষা সংকোচন নীতি গ্রহণ করল।
বাজেটে প্রবাসীদের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।